নিউজ ডেস্ক :
সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি নিয়ে ষষ্ঠ দিনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে জোরদার হচ্ছে বিভিন্ন মহলের সমর্থন। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চা “সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ” জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন।
এখন পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানায়, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল ড. মু শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মোহামেনুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বৈষম্যের শিকার নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির আলোকে এমপিওভুক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে। কি ‘দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোন আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেনা।
তারা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের এমপিও নীতিমালা ২০২১ বাতিল করে স্বীকৃতিই একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও’র নীতিমালা কার্যকর করে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, ভোকেশনাল, কৃষি ও ডিগ্রি কলেজ) একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল মতিন নন-এমপিও শিক্ষকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বলেন, নন-এমপিও শিক্ষকরা দীর্ঘ ১৫-২০ বছর যাবত আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত না করলেও আমরা আশা করবো ২৪’র ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নন-এমপিও শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোনো আবেদন নেয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেনা।
Leave a Reply