1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫, ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন

নোবিপ্রবিতে শিশুশ্রম ও মে দিবস

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
  • ১৮ বার পাঠ করা হয়েছে

 

মো: নাঈমুর রহমান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

মে দিবস—বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও অর্জনের দিন। ১৮৮৬ সালের শিকাগোতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকেই এই দিনটি হয়ে উঠেছে শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক।

কিন্তু নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এলাকায় ঘুরলেই দেখা যায়, বাস্তবতার এক নির্মম চিত্র—এখানে বিভিন্ন হলের ডাইনিং, পকেট গেইট সংলগ্ন খাবারের টঙের দোকান, শান্তিনিকেতনের খাবারের দোকানগুলোতে, ক্যাফেটেরিয়ায় কাজ করছেন শিশু-কিশোররা। কারও বয়স১২, কারো ১৪, কারও বা তারও নিচে। কেউ টেবিল পরিষ্কার করছে, কেউ হাঁপাতে হাঁপাতে জগ ভর্তি পানি টানছে, কেউ আবার গরম চুলার পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে খাবার রান্নায় সাহায্য করছে।

এই শিশুরা কারা? তারা শ্রমিক—তবে সেই স্বীকৃতি নেই, নেই ন্যায্য মজুরি কিংবা নিরাপত্তা। স্কুলে যাবার কথা যাদের, তাদের ছোট ছোট হাত ব্যস্ত থাকছে প্লেট মুছতে কিংবা কাপ ধুতে। শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী ১৪ বছরের নিচের কাউকে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা তার উল্টো চিত্রই দেখাচ্ছে।

মে দিবস আমাদের কেবল শ্রমিকের অবদানকে স্মরণ করিয়ে দেয় না, বরং এটি আমাদের কাছে এক প্রশ্নও রেখে যায়—এই সমাজে কে শ্রমিক? কে পাচ্ছে তার প্রাপ্য অধিকার, আর কে পাচ্ছে না? শিশুশ্রমিকদের মুখে কোনো দাবি নেই, নেই কোনো সংগঠিত আওয়াজ। অথচ তাদের চোখে লেগে থাকে ক্লান্তি, মুখে থাকে নিরব প্রতিবাদ।

নোবিপ্রবির মতো শিক্ষাঙ্গনের আশেপাশে যদি এই অসাম্যের চিত্র বিদ্যমান থাকে, তবে তা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অশনিসংকেত। শিশুদের হাতে কলমের পরিবর্তে থালা-বাসন পরিস্কারের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার মানে হলো—আমরা ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনাকে চাপা দিচ্ছি। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এই শিশুরা বড় হচ্ছে বঞ্চনার মাঝে, অন্যায়ের মাঝে।

মে দিবস হোক এমন এক প্রতিজ্ঞার দিন, যেখানে শিশুদের ভবিষ্যৎ বিক্রি হয়ে যাবে না ক্ষুধার কাছে, অভাবের কাছে। রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে শিশুশ্রম প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। শ্রমিকের মর্যাদা তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন প্রতিটি শিশু মুক্ত হবে শ্রমের শৃঙ্খল থেকে। শিশু বাঁচবে আত্নমর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি