গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৩জনের নামে পৃথক দৃটি মামলা দায়ের করেছে দূর্ণীতি দমন কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৮ মে) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন হোসেন বাদী হয় গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদলতে এ মামলা ২টি দায়ের করেন।
দুদকের গোপালগঞ্জ কায্যালয়ের উপপরিপালক মো. মশিইর রহমান জানান, বিগত ২০২৩ সালের ১৪ জুন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের মো: আমিনুর চৌধুরী শরীরে জখম নিয়ে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। কিন্তু আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ ইনজুরি নোট খাতা ও পুলিশ কেস রেজিস্ট্রারের ঘষামাজা করে বিগত ২৫ জুন সার্টিফেকেট প্রদান করে। ডা. ফারুক আহমেদ রোগী আমিনুর চৌধুরীর আপন ভাই অপর আসামী স্বাধীন চৌধুরী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে: মিথ্যা ও জালিয়াতিপূর্ণ সার্টিফেকেট প্রদান করে। এ ঘটনা তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ ও স্বাধীন চৌধুরীকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিগত ২০২৪ সালের ২৬ এপ্রিল তানিয়া সুলতানা গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. আশিকুজ্জামানের কাছ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিগত ২০২৩ সালের ১০ জুলাই তানিয়া সুলতানা বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের। এতে বাদী তানিয়া সুলতানা আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ-কে প্রভাবিত করে মিথ্যা সার্টিফিকেট নেন। তানিয়া সুলতানার আঘাত গুরুতর না হওয়া স্বত্ত্বেও প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রারে ঘষামাজা, নতুন লিখা সংযোজন ও অন্য রোগীর এক্সরে আইডি ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ঘটনায়ও আরএমও ডা. ফারুক আহমেদ ও তারিয়া সুলনাতাকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।
Leave a Reply