নিউজ ডেস্ক :
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। এমসিকিউ পরীক্ষার পাশাপাশি নেওয়া হতে পারে লিখিত পরীক্ষাও। আগামী অর্থাৎ ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকেই এটি বাস্তবায়ন করতে চায় সরকার। এই পরিবর্তনের ফলে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ধরন বদলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা: মো: সারোয়ার বারী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছি মাত্র।’
জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয় এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে। এই প্রক্রিয়ার ফলে অনেক মেধাবী ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে পারেন না। এমসিকিউয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় আয়ত্ত করে অনেকেই মেডিকেলে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
তাদের মতে, দক্ষ ও মানবিক চিকিৎসক তৈরি করতেই পরীক্ষা পদ্ধতিতে সংস্কার আনা দরকার। উপযুক্ত প্রার্থী যাচাইয়ে শুধু এমসিকিউ পদ্ধতির পরীক্ষা যথেষ্ট নয়। এছাড়া চিকিৎসকদের মানবিক হতে হয়। তবে এমসিকিউ পরীক্ষার মাধ্যমে একজনের মানবিকতা পরিমাপ করা যায় না। তাই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুদের মানবিকতাও যাচাই করা হতে পারে।
সার্বিক বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা: মো: সারোয়ার বারী বলেন, ‘মানসিক দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমসিকিউ পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে সঠিকভাবে মেধার যাচাই সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। আমরাও চেষ্টা করছি যেন আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত অংশ যুক্ত করা যায়। আগামী শিক্ষাবর্ষে সম্ভব না হলে পরের শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিকেলে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মেডিকেল কলেজ রয়েছে ১০৪টি। প্রতি বছর ১১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এমবিবিএস-এ পড়ার সুযোগ পান। এজন্য ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা দিতে হয় তাদের। তবে এবার এমসিকিউ এর পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও যুক্ত করা হতে পারে।
Leave a Reply