সুবংকর রায়, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিভাগের ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয় এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানানো হয়।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এসময় নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী শিক্ষার্থীরা তাঁদের চার বছরের স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং নবীনদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা দেন। নবীনরাও তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করে এবং শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে বিদায়ী ও নবীন শিক্ষার্থীরা কবিতা আবৃত্তি, গান, নৃত্য ও নাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাঁদের সৃজনশীল প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
এসময় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সভাপতি আতিকা কাফির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম এয়াকুব আলী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো: ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক ফিরোজ হোসেনসহ বিভাগের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “আগামী বিশ্ব তাদেরই হাতের মুঠোয় থাকবে, যারা হবে উন্নয়ন অনুসন্ধানে অনুগামী, যারা যথাযথ উন্নয়ন অভ্যাসকে করতলগত করেছে, দক্ষতা নিয়ে বেড়ে উঠছে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন হচ্ছে একটি নি:শেষ প্রক্রিয়া যেখানে অব্যাহত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে একটি লক্ষ্য অর্জিত হয়। উন্নয়ন হচ্ছে একটি লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে সফল হতে, সফল কর্মী হতে উন্নয়ন বিজ্ঞান অধ্যয়ন অত্যন্ত জরুরী। দেশ এখন তাদেরকেই খুঁজছে। পরিশেষে তিনি সবাইকে দেশ গঠনে, একটি সুন্দর জীবন গঠনে পড়ালেখা সঠিকভাবে রপ্ত করার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত, আবেগঘন ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে বন্ধন আরও দৃঢ় করেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা
Leave a Reply