গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ৭৫ বছরের বৃদ্ধা হাজেরা বেগম। স্বামী মো: সাকায়েত সমাদ্দার ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে ৩২ বছর আগে মারা যান। এরপরই ছেলে মেয়েকে মানুষ করে এই বৃদ্ধা। অথচ জমির ভাগাভাগি নিয়ে পষন্ড বড় ছেলে উলু সামাদ্দারের হাতে মারধর খেতে হচ্ছে তাকে। জীবনের বাকী সময়ে এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখে এসে দাঁড়াতে হয়ে তাকে।
রবিবার (১৫ মে) মায়ের করা মামলা থেকে জামিনে এসে বৃদ্ধা মাকে মারধর করে বসতবাড়ী ভাংচুর করেছে পাষন্ড ছেলে উলু সমাদ্দার। এসময় তার দুই বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকেও মারধর করে।
আর এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উরফী চরপাড়া গ্রামে। যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
নিয্যাতনের শিকার মা হাজেরা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার উরফী চরপাড়া গ্রামের নিজ জমির উপর বসবাস করে আসছেন। ছোট ছেলে মিলন সমাদ্দার দেড় বছর আগে বিদেশ গেলে শুরু হয় জমির ভাগাভাগি নিয়ে বড় ছেলে উলু সমাদ্দারের দ্বন্দ। জমির ভাগাভাগি নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে ও তার মেয়ে এবং ছেলের বউকে মারধর করে। এ ঘটনায় গত ২১ ফেব্রুয়ারী মারধর করলে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। গতকাল রবিবার জামিনে মুক্ত হয়ে ফিরে এসে জমি দাবি করে তাকে, দুই বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে মারধর করে ঘর ভাংচুর করে। এসময় তারা বাড়ী থেকে সরে গিয়ে জীবন রক্ষা পায়। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ সদর থাসায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
উলু সমাদ্দারের মেঝ বোন সালমা বেগম (৪৫) বলেন, বিভিন্ন সময় জমি নিয়ে আমার মাকে মারধর করে ভাই উলু সমাদ্দার। এই নিয়ে আমি বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধার করা হয়। আমার মা বাড়ীতে থাকতে পারে না। গতকাল জামিনি এসে আমার মাকে মারধর করে বাড়ী ভাংচুর করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
ছোট ছেলে মিলন সমাদ্দার স্ত্রী টুম্পা বেগম বলেন, জমি নিয়ে প্রায় সময় শাশুড়ী মাকে মারধর করা হয়। আমার শাশুড়ী নিজের বাড়ীতে থাকতে না পেড়ে মেয়েদের বাড়ীতে থাকে। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকেও মারধর করা হয়। এখন শশুড়বাড়ীতে থাকাটা যে আমার কাছে অভিশাপ হয়ে উঠেছে। আমি এর বিচার চাই।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে উলু সমাদ্দারকে বাড়ীতে না পাওয়া গেলেও তার স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্বামী ঘর ভাঙ্গেনি এমনকি মাকে মারধরও করেনি। ছোট ছেলের বউ ও বোনদের প্ররোচনায় মা এসব করছে। ছোট ভাই মিলন বিদেশে গেলে তাকে টাকা দেয়া হয়। এখন সেই টাকা ফেরত চাইলে ও জমির ভাগ চাইলেই এমন ঘটনা ঘটনায়।
Leave a Reply