আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর টেলিফোনে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দু’টি সূত্র জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত সোমবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ট্রাম্পকে ‘প্রিয় বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বলেছিলেন, তিনি চান নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিবাসীদের ফেরতসহ একগাদা নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসী রয়েছেন।

প্রত্যেক বছর লাখো ভারতীয় নাগরিক অবৈধপথে কানাডা ও মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারির পর মার্কিন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ইতোমধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান শুরু করেছে। যে কারণে অনেক ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাবাসনের ঝুঁকির মুখোমুখি হয়েছেন।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে ভারত প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ট্রাম্পের অভিষেকের পরদিন (মঙ্গলবার) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের এই প্রস্তুতির কথা জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় নাগরিক অনিবন্ধিত অথবা ভিসার মেয়াদবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ভারতীয়দের ফেরার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ভারত কাজ করছে বলে নয়াদিল্লি জানিয়েছে। অবৈধ ভারতীয়দের ফেরানোর বিষয়ে জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারতীয় প্রতিভা ও দক্ষতা যাতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সর্বাধিক সুযোগ পায়, আমরা সেটি চাই। কিন্তু একইসঙ্গে আমরা অবৈধ স্থানান্তর ও অবৈধ অভিবাসনেরও কঠোর বিরোধী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত জনসংখ্যা ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮ লাখে পৌঁছায়। ভারতের সরকারি তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশে পড়াশোনা করা প্রায় ১৩ লাখ ভারতীয় শিক্ষার্থীর এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।