1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‎হাবিপ্রবি’তে ৪৪তম বিসিএস এর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি ‎ ইবি’র দুই বিভাগে সভাপতির রদবদল  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই খুনিদের শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন  কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের জন্য ফল উৎসব ও নৌ-ভ্রমণ অনুষ্ঠিত রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি ইবি শিক্ষার্থীদের বেরোবি ক্যাম্পাস রেডিও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচিতি পর্ব মিল্লাত ট্রাস্ট এরিয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ: সাবেক সেনাসদস্যের স্ত্রী আটক ‎১৬ই জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্রলীগের  বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দলনের হুশিয়ারি ছাত্রদলের যন্ত্রপাতির হিসাব জমা দিতে বিভাগ-অফিসকে নোটিশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ফরহাদ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত

রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি ইবি শিক্ষার্থীদের

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫
  • ২২ বার পাঠ করা হয়েছে

 

 

ইবি প্রতিনিধি:

 

বৃষ্টির কোমল ছোঁয়ায় প্রকৃতি হাসলেও, ইবির রাস্তায় নেমে আসে দুর্ভোগের স্রোত।

সবুজের মাঝে জলকাদা মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের যাত্রা যেন এক অবিরাম সংগ্রাম। বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে রাস্তার এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হল এবং একাডেমিক ভবনের মধ্যবর্তী সড়কগুলোতে খানাখন্দের পাশাপাশি দেখা যায় বড় বড় জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা ভরে যায় পানি ও কাদায়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন ক্লাস, লাইব্রেরি বা হল থেকে ডিপার্টমেন্টে যেতে গিয়ে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না।

 

বিশেষ করে সাদ্দাম হোসেন হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ আনাস হল, টিএসসিসি এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের আশপাশের সড়কগুলোতে বেশি সমস্যা দেখা যায়। পথচারীদের হাঁটতে হয় পানির ভেতর দিয়ে। অনেক সময় কাদা ও পানিতে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে চরম অসুবিধার মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

 

লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম বলেন, জিয়া হল এবং পাশের মসজিদের মাঝের রাস্তাটি লালন শাহ ও জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের একমাত্র চলাচলের পথ। এছাড়া অসংখ্য অনাবাসিক শিক্ষার্থীও শেখপাড়ায় যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে বর্ষার সময়ে হেঁটে বা ভ্যানগাড়িতে চলাফেরাও কঠিন হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছেন, যা অত্যন্ত কষ্টদায়ক।

 

সাদ্দাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. প্রিন্স জানান, সাদ্দাম হল থেকে টিএসসিসি যাওয়ার পথে রাস্তার বাঁকে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, যা বৃষ্টির পানি জমে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এতে বাইক, ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়ে গেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাবল ডেকার বাসও মোড় নেয়ার সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, বড় কোনো দুর্ঘটনার আগে দ্রুত মেরামত কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।

 

শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শোয়াইব বিন আছাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত জিয়া মোড় প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থীর যাতায়াতের কেন্দ্রবিন্দু। সামান্য বৃষ্টিতেই এখানে পানি জমে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে পায়ে হেঁটে কিংবা রিকশা বা ভ্যানেও কাদা ও পানি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। পরিচ্ছন্ন পোশাকে ক্লাসে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়, যা শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিকভাবে ভোগান্তির মুখে ফেলে।

 

ক্যাম্পাস সংলগ্ন মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বর্ষার সময় কাদা-পানিতে শাহ আজিজুর রহমান হলের পকেট গেটের রাস্তা একেবারে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। পাশাপাশি রাস্তার আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

 

লালন শাহ হলের আরেক শিক্ষার্থী মো. হাসেম আলী বলেন, জিয়া মোড় থেকে লালন শাহ ও জিয়া হলের দিকে যাওয়ার রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায়। এছাড়া হলের নির্মাণকাজের গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তার অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।

 

তবে শিক্ষার্থীরা একবাক্যে দাবি করছেন, অবিলম্বে রাস্তাগুলো সংস্কার করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন চলাচলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরর প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী এ. কে. এম. শরীফ উদ্দীন বলেন, যিনি এ পদে নিয়োগ”এই বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সবকিছুই বাজেটের ওপর নির্ভরশীল। গত অর্থবছরে যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই অর্থে বর্তমানে চলমান কাজগুলো পরিচালিত হচ্ছে। নতুন বাজেট অনুমোদন পেলেই এই কাজগুলো শুরু করা হবে। বর্তমানে হলের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় তা শেষ হওয়ার পর জিয়া হলের সামনের রাস্তা ঢালাই করা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য রাস্তাগুলোর সংস্কার কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি