সারোয়ার হাসান সজীব, জাবিপ্রবি প্রতিনিধি।
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি বৈষম্য নিরসন ও ৩ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং সারা দেশে চলমান প্রকৌশল বিভাগে ডিপ্লোমা কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সাথে সম্মতি জানিয়ে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গঠিত হয়েছে ‘প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন’–এর কমিটি। কেন্দ্রীয় প্রকৌশলী আন্দোলন এর আহ্বায়ক আবু উবায়দা মাহাজ,মঈন উদ্দীন এবং সদস্য সচিব মো কাউছার আহমেদ পরশ স্বাক্ষরিত এই আহবায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়।
নবঘোষিত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ । যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মো: জাকিরুল ইসলাম জাকির ,মো: আতিকুর রহমান, লিমন ভূঁইয়া ,নাইমুর রহমান দূর্জয় এবং উমর ফারুক।
নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দেওয়ান মোর্শেদউর রহমান,যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আছেন এম মিয়াদ ইসলাম নিয়ন ,মো. আব্দুল আহাদ,মো. আব্দুর রহমান মানিক আর আছেন মো.কায়কোবাদ নিপু।
মূখ্য সংগঠক নির্বাচিত হয়েছেন আলীম হোসাইন সালমান এবং যুগ্ম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মোস্তাক আহমেদ ত্বহা ও মো. সাদমান সাকিব।
রিচার্জ উইং–এ দায়িত্ব পালন করবেন:ফাইজুর রহমান ফাহিম,মো. ইকবাল হোসাইন এবং মো. মজনু মিয়া।
এছাড়াও কমিটিতে রয়েছে ৫ জন মিডিয়া উইং,ফাইন্যান্স উইং,কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ক্রিয়েটিভ টিম,এবং কার্যকারী সদস্য।
কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন,“আমি আজ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বলতে চাই—বাংলাদেশে প্রকৌশল পেশা আজ ভয়াবহ বৈষম্যের শিকার।বর্তমানে সহকারী প্রকৌশলী (৯ম গ্রেড) এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী (১০ম গ্রেড) পদে যে নিয়োগ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা চলছে, তা মেধা ও ন্যায্যতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”
তিনি আরও বলেন,”আমাদের আন্দোলন কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি ন্যায্যতার পক্ষে, মেধার পক্ষে, এবং দেশের প্রকৌশল ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম।সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত দাবি—আমাদের এই তিন দফা দাবিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক। আমরা বিশ্বাস করি, ন্যায্য অধিকার ফিরে পেতে হলে, এখনই সময় সকল প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।”
সদস্য সচিব দেওয়ান মোর্শেদউর রহমান বলেন,”প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন প্রকৌশল পেশার মর্যাদা ও ন্যায্যতা রক্ষার একটি শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা। আমরা সহকারী প্রকৌশলী পদে পরীক্ষা ভিত্তিক নিয়োগ, উপসহকারী পদে কোটা বাতিল ও ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবীর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। এই আন্দোলন কারো বিরুদ্ধে নয়, বরং পেশাগত ন্যায়ের পক্ষে।
তিনি আরও যোগ করেন,”‘আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগ ও বিভাগের ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করব—এটাই আমার প্রতিশ্রুতি। আন্দোলন হবে শৃঙ্খলাপূর্ণ, শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক।”
এই কমিটি প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক উৎকর্ষ, চাকরি ও উচ্চশিক্ষার ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ে প্রকৌশলীদের দাবিদাওয়াকে শক্তিশালীভাবে উপস্থাপন করবে
Leave a Reply