1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‎হাবিপ্রবি’তে ৪৪তম বিসিএস এর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি ‎ ইবি’র দুই বিভাগে সভাপতির রদবদল  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই খুনিদের শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন  কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের জন্য ফল উৎসব ও নৌ-ভ্রমণ অনুষ্ঠিত রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি ইবি শিক্ষার্থীদের বেরোবি ক্যাম্পাস রেডিও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচিতি পর্ব মিল্লাত ট্রাস্ট এরিয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ: সাবেক সেনাসদস্যের স্ত্রী আটক ‎১৬ই জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্রলীগের  বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দলনের হুশিয়ারি ছাত্রদলের যন্ত্রপাতির হিসাব জমা দিতে বিভাগ-অফিসকে নোটিশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ফরহাদ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত

বাকৃবিতে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ৯২ বার পাঠ করা হয়েছে

 

বাকৃবি প্রতিনিধি:
“চাকরির ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি (কম্বাইন্ড) ডিগ্রিধারীরা প্রাধান্য পাবে” মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ প্রতিবাদ জানান।

পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১০টায় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে পশুপালন অনুষদে এসে শেষ হয়।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় পশুপালন অনুষদীয় ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এনিমেল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান, পশুপুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন। এছাড়াও অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির পক্ষে জামিল হোসেন। তিনি বলেন, ‘পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছেন। অথচ গত ২৯ জুন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার যে বক্তব্য দিয়েছেন যেখানে তিনি বলেন, ‘চাকরির ক্ষেত্রে কম্বাইন্ড ডিগ্রিকে অবশ্যই প্রাধান্য দেওয়া হবে’ এটি অত্যন্ত অপমানজনক, বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক। এর ফলে দেশে বিভিন্ন চাকরিতে পশুপালন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের সুযোগ নষ্ট হবে। এজন্য পশুপালন ডিগ্রীধারীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।

এসময় তিনি আরও দাবি করেন, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারে (সায়েন্টিফিক অফিসার/ সমমানের পদ) পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ১৯৮০ সালের বর্তমান ডিএলএস কে ডিরেক্টর অফ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এবং ডিরেক্টর অফ ভেটেরিনারি সার্ভিসেস দুই ভাগে ভাগ করে পশুপালন ও ডিভিএম ডিগ্রিধারীদের কে চাকরির সুযোগ দিলে এই সেক্টরের স্থায়ী সমাধান হবে। এই প্রস্তাবনা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় পশুপালন গ্র্যাজুয়েটদের যথাযথ স্থান দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আজিজুল হক বলেন, ‘আমরা যখন দেশ ও কৃষিভিত্তিক উৎপাদন উন্নয়নের কথা বলি, তখন বারবার শুনি কেন দেশ উন্নত হচ্ছে না, কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে, কেন আমদানি কমছে না। এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে দেখতে পাই, আমাদের উৎপাদন সম্পর্কিত সেক্টরগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অথচ প্রাণিসম্পদ খাত দেশের অর্থনীতির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি শুধুমাত্র কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাত ধ্বংসের মুখে পড়বে। কারণ তারা মূলত চিকিৎসাকেন্দ্রিক, উৎপাদন বিষয়ে তাদের দক্ষতা তুলনামূলক কম। উন্নত বিশ্বে যেমন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা ও আমেরিকায় পশুপালনের জন্য আলাদা ডিগ্রি রয়েছে। অথচ আমরা এখনো সেই বাস্তবতা মানতে পারছি না।’

অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘একজন উপদেষ্টা, যিনি রাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, তার বক্তব্যে এমন বৈষম্যমূলক মনোভাব গ্রহণযোগ্য নয়। বক্তব্য দেওয়ার আগে তথ্য-প্রমাণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া উচিত।’

অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই দুটি আলাদা প্রয়োজনকে সামনে রেখে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদ চালু করা হয়। একটির মূল লক্ষ্য চিকিৎসা, অন্যটির মূল লক্ষ্য উৎপাদন। এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘খামারে প্রাণী অসুস্থ হলে চিকিৎসা প্রয়োজন, কিন্তু সেই প্রাণী সুস্থ রাখার পেছনে বিজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন পদ্ধতির অবদান সবচেয়ে বেশি। এজন্য চিকিৎসা ও উৎপাদন উভয় ক্ষেত্রের শিক্ষার্থীদের সমান গুরুত্ব দিতে হবে। কোনো একপক্ষকে বাদ দেওয়া মানে সমন্বিত উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা।’

উল্লেখ্য, বাকৃবি শিক্ষার্থীদের অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এবং ডিভিএম (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) দুইটি ডিগ্রি ভিন্ন অনুষদ থেকে প্রদান করলেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি দুটি কম্বাইন্ডলি প্রদান করে। ডিগ্রি দুটি ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্নভাবে প্রদান করায় এ সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটদের চাকরি ক্ষেত্রে যোগ্যতাকেন্দ্রিক বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।। তাদের মতে, এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্র আরও সংকটে পড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি