তাসনীম সিদ্দিকা, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে পূন: ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) বাকৃবি কেন্দ্রে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা ( বহুনির্বচনী অংশ) বিকাল ৩টায় শুরু হয়েছে এবং পৌনে ৪টায় শেষ হয়। পরীক্ষায় বাকৃবি কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৭৩ দশমিক ০৮ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ‘এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং পশুপালন অনুষদের আওতাধীন দুইটি অঞ্চলের মোট ১০টি কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬০২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৪৪০ জন শিক্ষার্থী।’
ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া । এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন, ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো: জয়নাল আবেদীন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল্লাহসহ প্রশাসনিক অন্যান্য কর্তাবৃন্দ।
পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সম্পর্কে অধ্যাপক ড. মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা দিয়েছে।’
জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ‘গ ইউনিট’ (ব্যবসায় শিক্ষা) এর চলতি প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় বহুনির্বচনী প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুলের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশে পুনরায় পরীক্ষার নেওয়ার জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে আবেদন দেন ভর্তি-ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থী। এতে ফল না পেয়ে তিনি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলে বহুনির্বচনী পরীক্ষা পুনরায় নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভা গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আদালতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পুনরায় পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হয়।
Leave a Reply