নিশান খান
জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হলেও, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস জানিয়েছেন ফলপ্রকাশে তাদের কোনো ধরনের গাফিলতি নেই। বরং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই ফল প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে দাবি তাদের।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সাধারণত একটি বিভাগের ফল প্রস্তুত করতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করলেও ফল প্রকাশে দেরি হয় মূলত বিভাগীয় পরীক্ষা কমিটির কাছ থেকে নম্বরপত্রসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহে বিলম্বের কারণে।
অফিসে জনবল সংকটের বিষয়টিও দেরির একটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন সংশ্লিষ্টরা। একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি বিভাগে পরীক্ষা কমিটির অধীনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। খাতা মূল্যায়ন, নম্বরপত্র প্রস্তুতসহ যাবতীয় আনুষঙ্গিক কার্যক্রম ওই কমিটিই সম্পন্ন করে। আমাদের অফিস কেবল প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ফল প্রস্তুত করে থাকে। কিন্তু অনেক সময় পরীক্ষা কমিটি নম্বর পাঠাতে বিলম্ব করলে ফলাফল প্রকাশেও বাধা সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ছালেহ আহমেদ খান বলেন, আমরা চেষ্টা করি ফলাফল যথাসম্ভব দ্রুত প্রকাশ করতে। একাধিক বিভাগের ফল একযোগে প্রস্তুত থাকলে সামান্য বিলম্ব হতেই পারে। তবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের শেষ পর্বের ফলাফলগুলোকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত প্রকাশের উদ্যোগ নিই, যেন শিক্ষার্থীরা চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
ফল প্রকাশে সাত-আট মাস সময় লাগার’ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফলাফল প্রকাশ পুরোপুরি বিভাগীয় পরীক্ষা কমিটির ওপর নির্ভরশীল। তারা আমাদের অফিসে নম্বরপত্র ও প্রয়োজনীয় রিপোর্ট পাঠালে আমরা সাধারণত ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে পারি।
ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তির জন্ম দিলেও, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা সময়মতো ফল প্রকাশের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
Leave a Reply