রুমা আক্তার, সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রতিনিধি
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে রঙ-বেরঙের দেশীয় ফলের ছোঁয়ায় প্রাণ পেল একটি বিশেষ আয়োজন—“মৌসুমি ফল উৎসব”। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টায় কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত এ উৎসব কলেজ প্রাঙ্গণে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে।
ফল উৎসবটি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয় মৌসুমি ফলের টক-মিষ্টি স্বাদ। আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা, লটকন, কাঠলিচু, আনারস, আপেল, মালটা, ডালিম, কমলা এবং ড্রাগনফলের মত বাহারি ফলের সমাহার উৎসবটিকে করে তোলে রঙিন ও পুষ্টিকর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায়। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন, অফিসার্স কাউন্সিলের সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ, সহযোগী অধ্যাপক শিরিন সুলতানা ও হুমায়ুন কবির, প্রভাষক নাজমুন নাহার এবং ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। ছাত্রছাত্রী, বিএনসিসি, বাঁধন ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন উৎসবে সরব উপস্থিত।
উৎসব উদ্বোধনকালে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কাকলী মুখোপাধ্যায় বলেন,
“শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে এই আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। দেশীয় ফলের গুণাগুণ জানার এমন উদ্যোগ শুধু শিক্ষার পরিধিকে সম্প্রসারিত করে না, বরং আমাদের ঐতিহ্য ও প্রকৃতির কাছেও ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কলেজ প্রশাসন ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগে সর্বদা পাশে থাকবে।”
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ বলেন,
“প্রাকৃতিক ফলের পুষ্টিগুণ অনস্বীকার্য। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ এ ধরনের সৃজনশীল কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।”
উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বলেন,
“মৌসুমি ফল শুধু খাবার নয়, এটি পুষ্টির এক বিশাল ভাণ্ডার। এমন উৎসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে। এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।”
উৎসবজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎসাহ, আনন্দ আর ফলভোগের প্রাণবন্ত মুহূর্ত। রঙিন ফল আর প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ মিলিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply