ইবি প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রদলের একাংশের দুই নেতার বিরুদ্ধে এক দোকানদারের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে উঠেছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে তারা ক্যাম্পাস দোকানির কাছে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
ভুক্তভোগী হলেন রবীন্দ্র নজরুল কলা ভবনের বিপরীত পাশে একটি ছোট দোকানের মালিক আব্দুল্লাহ আহাদ। অন্যদিকে চাঁদা দাবি করা দুই নেতা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উল্লাস মাহমুদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন। এই দুই নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এ নিয়ে বিকাল ৪টার দিকে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই দোকানদার। জানা যায়, ঈদের আগে দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় তার দোকানের বেশিরভাগ মাল নষ্ট হয়ে যায় এজন্য পরবর্তীতে তিনি আর সহসাই দোকান চালু করতে পারেননি। এরপরে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা উল্লাস তাকে দেখা করতে বলে এবং দেখা না করলে দোকান ছেড়ে দিতে বলে। দোকান ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রদল নেতা উল্লাস তাকে বড় ভাইয়ের জন্য কিছু টাকা দিতে বলে।
ভুক্তভোগী দোকানী আহাদ বলেন, ঈদের বন্ধের সময় আমাকে একদিন উল্লাস ভাই ফোন দিয়ে বলে তুমি আমার সাথে দেখা করিও। তো আমি কিছুদিন পর ওনার সাথে দেখা করি। ওনি তখন বলেন যে, তুমি কী দোকান ছাড়বা। আমি বললাম যে, ভাই আমি ছাড়বো না, বন্ধের পর দোকান চালু করবো। পরে বললো যে আচ্ছা ঠিক আছে। আমার সাথে একদিন দেখা করিও। এরপর একদিন দেখা করি কিন্তু কিছু বলে নাই। আজকের হঠাৎ দুপুর একটার দিকে উল্লাস ভাই আর সাব্বির ভাই দোকানে এসে বাইরে নিয়ে যায় তারপর বলে যে বড় ভাইয়ের জন্য কিছু টাকা দিতে। আমি বললাম যে আমি কিছু আগেই দোকান খুললাম এখন তো টাকা নেই। পরে বলে যে আমরা বুধবারের দিন আসবো। তুমি টাকা রেডি করে রাখিও, কোন সমস্যা হইলে ভাই দেখবেনে। কিন্তু কত টাকা দিতে হবে সেটার পরিমাণ বলে নাই। বলছে যে বড় ভাই আসলে তখন দিয়ে দিও। আর কোনো সমস্যা হলে বড় ভাই দেখবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উল্লাস মাহমুদ বলেন, ‘‘আমি তার কাছ থেকে কোনো টাকা চাইনি এবং তাকে আমি চিনিও না। সে যদি প্রমাণ দেখাতে পারে, তবে আমি সব দায় স্বীকার করতে রাজি আছি। সম্ভবত কোনো মহল ষড়যন্ত্র করে আমার সম্মানহানি করতে এমন অভিযোগ করেছে।’’
অন্য অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন দাবি করেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আজ সকালে ক্যাম্পাসে গিয়ে সভাপতি সাহেবের সাথে দেখা করে দুপুরে ঝিনাইদহে চলে এসেছি। রবীন্দ্র নজরুল ভবনের সামনে আমি যাইনি। এটি ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার।’’
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Leave a Reply