তা’মীরুল মিল্লাত প্রতিনিধি -সাব্বির হোসাইন
দেশের স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, টঙ্গী, ২০২৫ সালের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। এই বছর মাদ্রাসাটি থেকে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, যা দ্বীনি শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু)-এর শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বশীল মো. রায়হান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মাদ্রাসাটির এই বিশাল অর্জন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উচ্চ মান এবং দ্বীনি ও আধুনিক শিক্ষার সফল সমন্বয়কে আবারও প্রমাণ করেছে। উল্লেখ্য, তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গীর একজন কৃতি সাবেক শিক্ষার্থী, রবিউল ইসলাম, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম আরও বাড়িয়েছেন।
চলতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী, ৩ জন মেডিকেল কলেজে, এবং ৩ জন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী তাদের মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন।
কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও অনুপ্রেরণা
শিক্ষার্থীদের এই গৌরবময় সাফল্যকে সম্মান জানাতে তা’মীরুল মিল্লাত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (টাকসু) আজ ৫ জুলাই এক আড়ম্বরপূর্ণ মেধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ভিপি ইকবাল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জিএস সাইদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি আজিজুল হক আজাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করার জন্য শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলেই চলবে না, এই জাতিকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে।”
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমাদের আমল-আখলাক ঠিক রাখতে পারলে তোমরা দুনিয়াতে ও আখিরাতে উভয় স্থানেই সফল হতে পারবে।”
সভাপতির বক্তব্যে ইকবাল কবির বলেন, “এই কৃতিত্ব কেবল তা’মীরুল মিল্লাতের নয়, বরং সমগ্র দ্বীনি শিক্ষাব্যবস্থার বিজয়। আমরা প্রমাণ করেছি যে দ্বীনি ও জেনারেল শিক্ষার সমন্বয় সম্ভব এবং এটি ফলপ্রসূ।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সুযোগপ্রাপ্ত জনাব রবিউল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও, সাফল্য অর্জনকারী সকল শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার এক দারুণ উৎস হিসেবে কাজ করেছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। তা’মীরুল মিল্লাতের এই ধারাবাহিক সাফল্য দেশের শিক্ষাঙ্গনে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং দ্বীনি শিক্ষার গুরুত্বকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
Leave a Reply