1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‎হাবিপ্রবি’তে ৪৪তম বিসিএস এর ফলাফল পুনর্মূল্যায়নসহ ৫ দফা দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি ‎ ইবি’র দুই বিভাগে সভাপতির রদবদল  নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই খুনিদের শাস্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন  কালীগঞ্জে সাংবাদিকদের জন্য ফল উৎসব ও নৌ-ভ্রমণ অনুষ্ঠিত রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, চরম ভোগান্তি ইবি শিক্ষার্থীদের বেরোবি ক্যাম্পাস রেডিও স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্যের শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরিচিতি পর্ব মিল্লাত ট্রাস্ট এরিয়ায় গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ: সাবেক সেনাসদস্যের স্ত্রী আটক ‎১৬ই জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্রলীগের  বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নেওয়া হলে কঠোর আন্দলনের হুশিয়ারি ছাত্রদলের যন্ত্রপাতির হিসাব জমা দিতে বিভাগ-অফিসকে নোটিশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী ফরহাদ মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত

শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ধামাচাপা দিতে মরিয়া অন্যান্য শিক্ষক

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫
  • ৬৩ বার পাঠ করা হয়েছে

ইবি প্রতিনিধি

অশালীন ইঙ্গিত, বাজে মন্তব্য ও যৌন হয়রানি এবং পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে মার্ক কম দেওয়াসহ নানা অভিযোগের উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বুধবার উপাচার্য বরাবর অন্তত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত অভিযোগ দেয় বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মেলায় তাকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তবে এরপর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বিভাগটির কয়েকজন শিক্ষক। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিগত তিন দিনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের নিয়ে দফায় দফায় সভা করেছে বিভাগের শিক্ষকরা। বিভাগের সভাপতি এবং একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক অভিযুক্ত শিক্ষকে বাঁচাতে জোর তদরিব করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে বাঁচাতে তাদেরকে চাপ দিচ্ছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. কে. এম নাজমুল হুদা ও বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন। মঙ্গলবার বিভাগের সভাপতি ভুক্তভোগী ছাত্রীদের নিয়ে আলোচনা করে বিষয়টি বিভাগের বাইরে না জানানোর অনুরোধ করেন। পরে ড. আনোয়ারুল হক আবারও তাদেরকে নিয়ে ম্যানেজ করতে আলোচনায় বসেন। এসময় তিনি ভুক্তভোগীদের দুপুরের খাবারের জন্য পনেরো হাজার টাকা দেন। কিন্তু ছাত্রীরা তা নিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বুধবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।

ভুক্তভোগী ছাত্রী তাবাসসুম (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আজিজ স্যার আমাকে রিটেক পরীক্ষার আগের দিন তার রুমে ডেকে বলেন, তোমার ফিগার ভালো, শাড়ি পরলে ভালো লাগবে।’ তিনি আমাকে তার কথার মাধ্যমে বুঝালেন, সম্পর্ক ভালো রাখলে রেজাল্ট ভালো হবে। পরে তাকে স্পেস না দেওয়ায় আমার পরবর্তী সেমিস্টার থেকে রেজাল্ট খারাপ হতে থাকে।

আরেক ছাত্রী আয়েশা (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আজিজ স্যার আমাকে মেসেঞ্জারে ফোন দিত। উদ্দেশ্য খারাপ হওয়ায় আমি তাকে আনফ্রেন্ড করে দিই। পরে ক্লাসে সবার সামনে আমাকে আজেবাজে কথা বলতেন এবং তার কোর্সে ফেল করানোর হুমকি দিতেন। বিভাগের প্রথম আমিই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু স্যাররা বিষয়টা সমাধান করে দিলেও তিনি আমার সঙ্গে একই আচরণ করে আসছিলেন। পরে ভয়ে আমি আর কোনো কথা বলিনি।’

এদিকে শিক্ষার্থীদের ম্যানেজের বিষয়টি অস্বীকার করে বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক স্বপন বলেন, “বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে আমি তাদেরকে নিয়ে বসেছিলাম। ঘটনা গোপন রাখা বা শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি পুরোপরি মিথ্যা। তবে তাদেরকে নিয়ে আমি লাঞ্চ করতে চেয়েছিলাম। আমিও ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. এ. কে. এম নাজমুল হুদা বলেন, “ওই শিক্ষককে বাঁচানোর আমরা কেউ না! এই বিষয়ে বিভাগ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা আমরা নিয়েছি। বাকিটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সুপ্রীম কর্তৃপক্ষ দেখবেন।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়েছি। পদ্ধতিগতভাবে আমরা তদন্ত কমিটি করবো। তদন্তের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

প্রসঙ্গত, আজিজুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ বিভাগের অসংখ্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ এবং নানারকম প্রলোভন ও কুরুচিপূর্ন ইঙ্গিত দিয়ে আসছেন। প্রলোভনে রাজি না হওয়ায় মানসিকভাবে হেনস্থা ও হুমকি দিতেন। তিনি ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে মেয়েদেরকে দাঁড় করিয়ে তাদের পোশাক, চেহারা, শারীরিক গঠন দিয়ে কুরুচিপূর্ন ও অশ্লীল মন্তব্য করেন। ক্লাসে বিভিন্ন কোর্স পড়ানোর সময় মেয়েদের শারীরিক গঠন ও মেয়েদের শরীবের সংবেদনশীল অঙ্গগুলোকে ইংগিত করে অশালীন ও বিব্রতকর কথা বলতেন। এছাড়াও ছাত্রীদেরকে অর্থের প্রলোভন, পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো করার প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য জোর করতেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি