উলিপুর উপজেলা শাখার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে জটিলতা, গ্রুপিং, এবং বিভিন্ন প্রচার ও অপপ্রচারের ঝড়।
আলোচনার কেন্দ্রে আহ্বায়ক আতাউর রহমান, যিনি পুরনো একটি মীমাংসিত মামলার ছায়ায় পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
শুক্রবার, ২৯ মে গভীর রাতে সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে উলিপুর উপজেলা কমিটির একটি তালিকা প্রকাশ করা হলে, সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার প্রবাহ।
কিন্তু এরই মধ্যে সামনে আসে নতুন বিতর্ক—কমিটি নিয়ে চলছে বড় ধরনের গ্রুপিং। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কমিটির কপি, যার একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো মিল নেই। এতে করে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
এই পটভূমিতে আতাউর রহমানের নামে ২০২১ সালের একটি পুরোনো মামলার কপি ছড়িয়ে দিয়ে তাকে ‘আসামি’ হিসেবে তুলে ধরার অপপ্রচার শুরু হয় বিভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে। অথচ মামলাটি বহু আগেই মীমাংসিত এবং আদালতে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি বলে জানান আতাউর।
তিনি বলেন—
“আমার নামে মামলা হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু আমি অভিযুক্ত না ভাই। কোর্ট এখন পর্যন্ত কোনো কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। বরং বাদী নিজেই মিথ্যা মামলা দিয়ে দুইবার জেলে গেছে, দুই মাসের বেশি সময় ধরে। এটা ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক শত্রুতার ফাঁদ।”
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন,
“এই মামলাটি ধর্ষণের কোনো মামলা না। ৪৯৭ ধারায় অর্থাৎ পরকীয়া সংক্রান্ত অভিযোগ ছিল, আর ৫০৬(২) ধারা কারো জীবন, নিরাপত্তা বা সম্মান ক্ষুন্ন করার হুমকি সংক্রান্ত। এসব অভিযোগও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাকে পরিকল্পিতভাবে হেয় করতে চাওয়া হয়েছে।”
স্থানীয় রাজনৈতিক ও ছাত্রমহল মনে করছে, এ অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর গ্রুপিং একটি সুপরিকল্পিত চক্রান্তের অংশ। উদ্দেশ্য—আন্দোলনের নেতৃত্ব দুর্বল করে দেওয়া এবং নবীনদের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করা।
একদিকে নতুন নেতৃত্ব, অন্যদিকে পুরোনো মামলার কুয়াশা ও বিভক্ত কমিটির বিভ্রান্তি—উলিপুরের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে? স্বচ্ছ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আগে কি থামবে অপপ্রচারের এই ধারাবাহিকতা? সময়ই দেবে উত্তর।
Leave a Reply