কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর হাটে ইজারা সংক্রান্ত ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনীর হাতে আটক হন কুড়িগ্রাম জেলা শাখা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আলমগীর। তাকে হাটের ইজারাদার ভেবে আটক করা হলেও, পরবর্তীতে আদালতে প্রমাণিত হয় তিনি ইজারাদার নন।
এ ঘটনার পর তাকে নিয়ে “গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত” মর্মে বিভিন্ন মহলে অপপ্রচার ছড়ানো হয়, যা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ঘটনার সূত্রপাত যাত্রাপুর হাটের একটি নিয়মিত হাটবারে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ মাহাবুর রহমানের নামে চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি ইজারা নেওয়া হয়। হাট পরিচালনায় সম্পৃক্ত থাকলেও, বিভিন্ন কাজে অন্যান্য ব্যক্তিরা সহায়তা করে থাকেন। ওই হাটবারে ফেনির এক ক্রেতা হাট থেকে ১৭টি মহিষ ক্রয় করেন, যার বৈধ রশিদ প্রদান করে হাট কর্তৃপক্ষ।
তবে হঠাৎ সেনাবাহিনীর সন্দেহ হয় যে হাটটি বৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে না এবং মহিষগুলো পাচারের অংশ হতে পারে। তারা ওই মহিষবাহী গাড়ি আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের কাছে ইজারার কাগজ দেখতে চান।
এই প্রেক্ষিতে হাট সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে আলমগীর ক্যাম্পে যান তথ্য সংগ্রহ ও ব্যাখ্যা দিতে। কিন্তু সেনাবাহিনী ইজারাদার মাহাবুর রহমানের সঙ্গে তাকেও হাটের অবৈধ ইজারাদার ভেবে আটক করে এবং পুলিশে সোপর্দ করে।
পরদিন সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হলে, হাটের বৈধ ইজারার কাগজ দাখিল করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই-বাছাই শেষে আদালত সেদিনই আলমগীরকে জামিনে মুক্তি দেন।
ঘটনার পর কিছু মহল তাকে গরু পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত করে অপপ্রচার চালালেও আদালতের নথিপত্র ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট, এমন কোনো অভিযোগ সত্য নয়।
উল্লেখ্য যে , ইউএনও ও ডিসি মৌখিকভাবে সেনাবাহিনীকে জানিয়েছেন হাটটি বৈধ ইজারায় পরিচালিত হচ্ছে। তবুও সেনাবাহিনী আলমগীরকে মুক্তি না দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে, যা নিয়ে স্থানীয় মহলে উদ্বেগ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply