“নববী আদর্শে সমাজ বিনির্মাণে ছাত্র সমাজের করণীয়” শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সংগঠন।
শনিবার (২৪ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলজি এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদ ভবনের কনফারেন্স রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এসময় থিওলারী এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী সেমিনার উদ্বোধন করেন।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমাদ উদ্দীন তালুকদার, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক জিল্লুর রহমান সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সেমিনারের প্রধান অতিথি মনজুরুল করিম মহসিন বলেন, “আমরা দেখি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের অপসংস্কৃতি চলমান রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আমরা যদি কাজ করতে পারি এবং ক্যাম্পাস ভিত্তিক দ্বীনের প্রচার করতে পারি তবে ছাত্র সমাজকে সচেতন করে তোলা সম্ভব। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থী রয়েছেন। তারা যদি এই দ্বীনের শিক্ষা নিয়ে নববী আদর্শকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারে তাহলে দেশের সকল প্রান্তে দাওয়াত পৌঁছে যাবে। রাসুল (সাঃ) এর সীরাত পড়ার মাধ্যমে নিজেদের জীবন পরিবর্তন করতে পারি। একজন মানুষ সীরাত পড়তে পারলে সে তার জীবন পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। তবে আমরা এই সীরাত মানুষের নিকট এখনো পৌঁছে দিতে পারিনি। এইটা আমাদের ব্যর্থতা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা রাসুল (সাঃ) এর দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারি একটি হলো আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগ থেকে রাসুল সঃ যেভাবে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন সেখানে তিনি তার ভালোবাসা দিয়ে এই যুগ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। রাসুল (সাঃ) নিজের ভালোবাসা দিয়ে বিশ্ব জয় করেছেন। আমাদের এই গুনাবলি অর্জন করার পাশাপাশি দ্বিতীয় যে জিনিসটি দরকার সেটি হলো ক্ষমা। ভালোবাসা ও ক্ষমা এই দুইটি জিনিস চর্চার মাধ্যমে আমরা আমাদের সমাজ পরিবর্তন করে ফেলতে পারবো।”
সেমিনারের প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাকসুদূর রহমান বলেন, “নববী আদর্শ সমাজ বিনির্মাণের পরিপূর্ণ রূপরেখা। ছাত্র সমাজ পরিবর্তনের সম্ভাব্য চালিকা শক্তি। নববী আদর্শে ছাত্র সমাজের করণীয় যেমন: ইসলামী শিক্ষা, সিরাতে রাসুল অধ্যয়ন, পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে অনুশীলন, সামাজিক নেতৃত্ব গঠন। পরিশেষে তিনি অপসংস্কৃতি ও অসৎ চরিত্র থেকে বিরত থাকার বিষয়ে আহ্বান জানান।”
Leave a Reply