শাহরিয়ার স্বর্ণব, হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
পলিথিন-প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক উল্লেখ করে “Increasing Social Awareness Against Using Plastic” কর্মসূচির অংশ হিসেবে পরিবেশ সচেতেনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) শাখা।
শুক্রবার (১৬ মে) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁশের হাট বাজারে শিক্ষার্থী, ব্যাবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে দুই ঘন্টাব্যাপী তারা এই সচেতেনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাগর, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান বাবু সহ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
এসময় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাগর বলেন, আমরা মনে করি- বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আইন নয়, জনসচেতনতাই পারে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জীবজগত ও পরিবেশকে রক্ষা করতে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি সচেতন হোক। একইসাথে পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগের প্রচলন করলেও পলিথিনের ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব। বাঁশেরহাটের মুদি দোকান,সবজি দোকান ও শিক্ষার্থীদের মাঝে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে সচেতন করতে আমরা এই প্রয়াস হাতে নিয়েছি।
ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান বাবু বলেন, এই পরিবেশ টা আমাদের সবার। একে ভালো রাখার দায়িত্বও আমাদের। তাই আমাদের সবাই কে একযোগে সচেতন হতে হবে। তাহলেই সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে।
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিকের বিষয়ে বলা হয়- প্লাস্টিকের প্রধান সমস্যা হলো এটা বিয়োজিত হয় না। ২০০-১০০০ বছর পর্যন্ত সময় নেয় মাটিতে ভালোভাবে পঁচে মিশে যেতে। এটি মাটি এবং পানি দূষণ ঘটায়। প্লাস্টিক পোড়ালে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। ফলে বায়ু দূষিত হয় এবং মানুষের শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। মাইক্রো প্লাস্টিক খাদ্য শৃঙ্খলে প্রবেশ করে কিডনী লিভার ও ফুসফুস অকেজো করে দেয় এবং ক্যান্সার তৈরি করে। প্লাস্টিক মানব শরীরে প্রবেশ করে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা ও প্রজনন স্বাস্থ্য হ্রাস করে। প্লাস্টিক পোড়ানোর ফলে অত্যন্ত বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয় যা মানুষের নানাবিধ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ঘটায়।
করণীয় সম্পর্কে বলা হয় যে,যতটা সম্ভব প্লাস্টিক ব্যবহার কমাতে হবে।কেনাকাটা করার সময় পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগটি সাথে রাখুন।ন্যূনতম প্যাকেজিং সহ জিনিসপত্র কেনার চেষ্টা করুন।
Leave a Reply