মোঃআশিকুল ইসলাম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
দক্ষিণ বঙ্গের উচ্চশিক্ষা অর্জনের অন্যতম বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠার মাত্র ১৪ বছরে ৬ জন ভিসি পেয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয় টি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবার পর মাত্র ২ জন ভিসি তাদের পূর্ণ মেয়াদি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় টির এমন পরিস্থিতি তে গত দেড় বছরে ৩ জন ভিসি পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভের সময় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প পরিচালক ও প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশিদ খান।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি চার বছর পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করায় তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ মাস পূর্বেই ছুটিতে যেতে বাধ্য হন।তার অনুপস্থিতিতে অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
পরবর্তীকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি তার মেয়াদ শেষ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া উপাচার্য হিসেবে রুটিন দায়িত্ব পালন করার পর পূর্ণ উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন।
২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ও প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিন। তিনি ২০২৫ সালের ১৩ মে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অপসারিত হন।
সর্বশেষ ২০২৫ সালের ১৩ মে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর পদে দায়িত্ব পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম।
Leave a Reply