ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা মনন ও সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নেতৃত্ব গুণাবলি তৈরির উদ্দেশ্যে অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন ‘তারুণ্য’ এর উদ্যোগে দুদিনব্যাপী “Training on Leadership” কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের ১১৬ নাম্বার কক্ষে এই কর্মশালাটি শুরু হয়।প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাক্টিভ সিটিজেনের প্রশিক্ষক
কামরুল ইসলাম রিপন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তারুণ্যে’র ২১-২২ অর্থবছরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, ২২-২৩ অর্থবছরের সভাপতি আশিফা ইসরাত জুঁই, ২৩-২৪ অর্থবছরের সভাপতি মো: মারুফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া রহমান প্রমি।
অতিথির বক্তব্যে আশিফা ইসরাত জুঁই বলেন, “লিডারশীপ ট্রেনিং এর মাধ্যমে তারুণ্য ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।”
তারুণ্যের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় বলেন, “নেতৃত্ব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে প্রাপ্ত সদস্যদের জন্য অতিব গুরুত্বপূর্ণ। সুশৃঙ্খল সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে, দেশ ও জাতি গঠনে মানবিক গুনাবলী সম্পন্ন নেতৃত্বদানকারী হিসেবে গড়ে উঠতে তারুণ্যের এ আয়োজন খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে- যা শুধু ব্যক্তি জীবনে নয়, আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বেশ সহায়ক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় বলেন যোগ্য নেতাদের হাত ধরেই তারুণ্য পৌঁছে যাক প্রতিটি অসহায় মানুষের কাছে। এবং যোগ্য নেতারাই হয়ে উঠুক ভবিষ্যতের কর্ণধার।”
তারুণ্যের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফাবিহা বুশরা বলেন, “যারা ট্রেনিংপ্রাপ্ত হয়েছেন তারা ট্রেনিং থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাগুলো শুধু সনদপত্রে সীমাবদ্ধ না রেখে বরং বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে একজন সুদক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবেন সেই আশা রাখি।”
প্রশিক্ষণ বিষয়ে সমাপনী বক্তব্যে বর্তমান সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, “তারুণ্য স্বেচ্ছাসেবার পাশাপাশি ব্যক্তি উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, ও সেমিনারের আয়োজন করে থাকে সংগঠনটি। তারই ধারাবাহিকতায় এ লিডারশীপ ট্রেনিং এর আয়োজন। যেখানে তারুণ্যের প্রতিটি সদস্য দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন হয়ে উঠবে, যারা দেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। পাশাপাশি তারুণ্যের এ আয়োজন প্রতিবছর অসংখ্য নেতৃত্ব গড়ে তুলে যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।”
উল্লেখ্য, ‘তারুণ্য’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন। ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই প্রতিষ্ঠার পর থেকে রক্তদান কর্মসূচি, বৃদ্ধাশ্রমে সহায়তা, সচেতনতামূলক সেমিনার, শীতবস্ত্র বিতরণ, বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, তারুণ্য লাইব্রেরি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, লিডারশীপ ও প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ধরণের জনকল্যাণমুলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।
Leave a Reply