প্রতিনিধি -সাব্বির
৭ জুলাই ২০২৪ , গাজীপুরের কালীগঞ্জে ভূমিদস্যু হিসেবে এক নারীর নাম উঠে এসেছে, যার প্রতারণা ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সরকারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। হাসনা বেগম নামের এই নারী সাধারণ মানুষ ও প্রতিবেশীদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ বাধিয়ে ফায়দা লুটছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কালীগঞ্জের নাওয়ান এলাকার কলুন গ্রামের ইব্রাহীম মাস্টারের স্ত্রী হাসনা বেগম, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছেন। একাধিক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসনা বেগম বিভিন্ন সময় বলেন, “সহকারী কমিশনার আমার ঘনিষ্ঠ, আমার কথামতো কাজ করেন।” এই বলে তিনি নামজারি, জমাভাগ, অর্পিত/খাস জমি লিজ ও মিসকেস করে রায় এনে দেওয়ার মৌখিক চুক্তি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
আবুল কালাম ও কাউছারসহ কলুন গ্রামের একাধিক বাসিন্দা জানান, হাসনা বেগম পুরো গ্রামের মানুষকে নাজেহাল করে তুলেছেন। তার মধ্যস্থতায় একে অপরের বিরুদ্ধে শত্রুতা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে গুম, খুনসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করেন, হাসনা বেগম বিভিন্ন সময় ভুয়া নামজারি এবং অন্যের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বাড়িতে পাওনাদার এলে ঘরের ভেতর থেকে বাইরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। অনেক পাওনাদার তাকে খুঁজে না পেয়ে সড়কে বসে কাঁদতে দেখা গেছে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তারপুরের কলুন গ্রামবাসী গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনার ভূমি কার্যালয়ে দালাল চক্রের মূল হোতা হাসনা বেগমের সহায়তা ছাড়া একটি ফাইলও নড়ে না, কোনো কাজই হয় না। স্থানীয়দের দাবি, হাসনা বেগমকে ভূমি অফিসে দালালিতে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাকে কোনো ভূমি অফিসে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া বা প্রবেশ করতে না দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে হাসনা বেগমের সঙ্গে কথা বললে তিনি সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন। তিনি বলেন, ভূমি অফিসে মাসুদুল আলম নামে একজন নায়েক ছিলেন, তিনি তার দেবর। তার সঙ্গে কিছুদিন কাজ করেছেন এবং বর্তমানে ব্যক্তিগত কাজেই ভূমি অফিসে যান, দালালিতে জড়িত নন।
সহকারী কমিশনার ভূমি নূর-ই তাসমিন উর্মি এ বিষয়ে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply