1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : mdnajmulhasan hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন সাবেক এমপি হায়দার হোসেন চৌধুরী তুহিন গুচ্ছ পরীক্ষার্থীদের জন্য পূর্ণ সহায়তায় প্রস্তুত নোবিপ্রবি ছাত্রদল স্থায়ীভাবে অপসারিত হলেন ডিমলা উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুহুল মোসাদ্দেক পীরগাছায় বসতভিটা দখলের অভিযোগ; দেড়শ বছরের পুরনো রাস্তায় বেড়া পীরগাছায় বসতভিটার জমি দখলের অভিযোগ  প্রায় দেড়শ বছর ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশের বেড়া- এইচএসটিইউ কুইজ সোসাইটির নেতৃত্বে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ফারিহা তাসনিম আবারও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পীরগাছায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ বেরোবিতে ছাত্রীদের কমনরুমের ১ম তলার ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে ববি শিক্ষকদের গোপন অনলাইন সভা ফাঁস,তুমুল সমালোচনা

শিক্ষার মানোন্নয়নে যুগোপযোগী সংস্কারের আহ্বান নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্যের

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৬ বার পাঠ করা হয়েছে

 

মো: নাঈমুর রহমান
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান উন্নয়নে টিচিং ও রিসার্চ উভয় ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুল হক। ২ এপ্রিল (বুধবার) তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যমান সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে নিয়মিত ক্লাস গ্রহণ, যথাসময়ে ফলাফল প্রদান এবং জবাবদিহিতার অভাব প্রকট। গবেষণার মান নির্ণয়ের নির্দিষ্ট উপায় থাকলেও, টিচিং পারফরম্যান্স মূল্যায়নের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই, যা শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষাদানের মানোন্নয়নে জোর দিয়ে অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক বলেন, “স্টুডেন্ট ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা জরুরি। এটি শিক্ষকদের নিজেদের দুর্বলতা ও সম্ভাব্য উন্নতির জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে। পাশাপাশি, নতুন শিক্ষকদের জন্য নূন্যতম তিন মাসের প্রশিক্ষণ চালু করা দরকার, যাতে তারা পাঠদানে আরও দক্ষ হতে পারেন।”

শিক্ষকতাকে আরও আকর্ষণীয় করতে স্বতন্ত্র পে-স্কেল ও উন্নত সুবিধা প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। তার মতে, “এর ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ পেশাকে উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করবে, যা শিক্ষার সামগ্রিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়ন নিশ্চিত হলে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরি হবে, যারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাকরির সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে দেশের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, রিজার্ভ শক্তিশালীকরণ এবং বেকারত্ব হ্রাস সম্ভব হবে।”

শিক্ষায় বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক রেজুয়ানুল হক বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য শিক্ষায় বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। তাই নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব হয়।”

অধ্যাপক ড. রেজুয়ানুল হকের মতে, যথাযথ সংস্কার ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার কাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।

নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্যেরের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শিক্ষক -শিক্ষার্থীদের মাঝে ইতিবাচকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান রুবেল কমেন্ট সেকশনে লিখেন, “বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্লাস কম নিয়ে কোর্স শেষ করাকে ইতিবাচকভাবে দেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে অনার্স শেষ বর্ষে। অনেকেই কেবল পরীক্ষার উপযোগী কন্টেন্ট শুনে কোর্স শেষ করতে আগ্রহী থাকেন। গবেষণার ক্ষেত্রেও অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যায়—অনেক শিক্ষার্থী গবেষণা না করেই যেভাবেই হোক থিসিস জমা দিতে চায়। গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষকদেরও অনেকেই এড়িয়ে চলেন, কারণ তাদের সঙ্গে কাজ করতে হলে গবেষণা করতে হবে।

ড. মেহেদী হাসান রুবেল মন্তব্য করেন, এই পরিস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও দায়ী। তাই, শিক্ষার মানোন্নয়নে স্টুডেন্ট ইভ্যালুয়েশন সিস্টেম চালু করা জরুরি, যা ক্লাস ও গবেষণার মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আবেদিন মিনহাজ্ব নামের নোবিপ্রবির এক শিক্ষার্থী নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্যের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে লিখেন, “শিক্ষা সংস্কার কমিশন না হওয়াটা দেশের উচ্চশিক্ষার জন্য অশনি সংকেত। পলিসি মেকাররাই যদি প্রেশার কুকারে থাকেন, উপযুক্ত সংস্কার বাস্তবায়ন তো দূর প্রণয়ন করাই কঠিন হবে।”

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি