মাইদুল ইসলাম শফিক, বানারীপাড়া:
বরিশালের বানারীপাড়া দক্ষিন নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের পুনরায় যোগদানের খবরে আতঙ্কিত স্কুলের শিক্ষকরা এবং শিক্ষার্থীরা সাথে সাথে ক্ষোভে এবং বিক্ষোভে ফুসে উঠেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষাক ও এলাকাবাসী । উপজেলার পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একটি ঐতিহ্যবাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৮ই মেয়ে সকালে স্কুল চলাকালীন সময়ে সময় গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়দের অনেক ভিড়।জানাযায় স্কুলের সাবেক বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেন পিছনে দরজা দিয়ে নাকি প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে যে জামাল হোসেন বিদ্যালয় চাকরি করা কালীন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে সর্বদা খারাপ আচরন করাসহ একজন স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুল হাইকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করাসহ নানান হুমকি দিতেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক জামাল হোসেনের এমন চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি স্টোক করে মারা যান। ঐ সময় ওই দপ্তরীর মেয়ে তার বাবার হত্যার বিচার চেয়ে সহপাঠীদের নিয়ে বিক্ষোভ করেছিল। ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানান তার স্কুল ড্রেস ভিজা থাকার কারনে সাধারন ড্রেস পরিধান করে স্কুলে আসায় ওই বিদ্যালয়ের সকল ছেলে-মেয়ে সামনে শিক্ষার্থীর ড্রেস খুলে ফ্লোর মোছার হুমকি দেয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শরীরে হাত দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, স্কুলের টিভি নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার, অন্য শিক্ষকদের ব্যবহার করতে না দেয়া, শিক্ষকদের গালিগালাজ করে কক্ষ থেকে তাদের বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগ তোলেন। ওই বিদালয়ের শিক্ষার্থীরা আরো জানান সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেন যদি পুনরায় স্কুলে ফিরে আসে তাহলে তারা স্কুলের ক্লাস বর্জন করে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিবে। উল্লেখ্য গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন। পদত্যাগ পত্র দাখিলের ১১ দিন পরে গত বছর ১৪ই সেপ্টেম্বর তার কাছ থেকে জোর করে পদত্যাগ পত্র নেওয়া হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে বানারী পাড়া থানায় একটি জিডি করেন যার জিডি নাম্বার ৫০৯। উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে গত বছরের ১ অক্টোবর বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন সুলতানা সুমি বানারীপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দীর্ঘ তদন্তের পরে বানারী পাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা চলতি মাসের ৬ তারিখে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত প্রতিবেদনে জোর করে পদত্যাগ পত্র নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে। আদালতের বিচারক রেনেসা খান উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয়ে চলতি মাসের ৯ ফেব্রুয়ারি মোঃ জামাল হোসেনের জিডি খারিজ করে দিয়েছেন। এতে করে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
Leave a Reply