মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মিঠাপুকুর উপজেলা শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মিঠাপুকুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে নিজ নিজ ভোট প্রদান করেন ভোটাররা। ভোটে সভাপতি পদে ৭২৮ ভোট পেয়ে শহিদুল ইসলাম সাধন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৬১১ ভোট পেয়ে সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ নির্বাচিত হয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৪৫ জন শিক্ষক ভোট প্রদান করেন। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ ভোটের পরিবেশও ছিল উল্লেখযোগ্য। ভোটের মাঠে প্রার্থী, ভোটার এবং দায়িত্বশীলদের বন্ধুত্বসুলভ আচরণ দেখা গেছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন সহ ৫ টি পদে মোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এরমধ্যে সভাপতি পদে ৭২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম সাধন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেলনুর হোসেন পেয়েছেন ৫০২ ভোট। সাধারন সম্পাদক পদে ৬১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল আমিন পেয়েছেন ৪১৯ ভোট। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি (মহিলা) পদে ৬৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোছা. মুনসেফা আকতার বানু, নির্বাহি সম্পাদক পদে ৮০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল ইসলাম মন্ডল (মুক্তার) এবং পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক পদে ৮৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আবু সুফিয়ান।
ভোটকেন্দ্রে আসা সুধীজনেরা বলেন, জুলাই বিপ্লবের পরে অনুষ্ঠিত মিঠাপুকুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন আগামী সংসদ এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য একটি মাইফলক হয়ে থাকবে। এখানে যেভাবে নির্বাচন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোজ্জামেল হক শাহ বলেন, মিঠাপুকুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন যে সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এটি একটি দৃষ্টান্ত। সংশ্লিষ্টরা নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবি রাখে। নতুন নেতৃত্ব প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা রাখি।
Leave a Reply