বাকৃবি প্রতিনিধি
‘আসুন দুগ্ধশিল্প এবং দুধের প্রভাব উদযাপন করি’ এটিকে মূল প্রতিপাদ্য করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বাকৃবি) দুই দিন ব্যাপি বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হলো বিশ্ব দুগ্ধ দিবস -২০২৫।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) উদ্যোগে সর্বপ্রথম ২০০১ সালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশেও এই দিবসটি উদযাপন করা হচ্ছে।
রবিবার (১জুন) সকাল ১০ টার দিকে বাকৃবি চত্বরে অবস্থিত স্কুলসমূহের ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে দুধ পান করানো হয়।এরপর পশুপালন অনুষদের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড মো. শহীদুল হক। এরপর অনুষদীয় ফটক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। এরপর বেলা ১২ টার দিকে সেখানে দুগ্ধ দিবসের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড মো. হারুন- অর- রশিদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, নেসলে বাংলাদেশের রেগুলেটরি এন্ড সায়েন্টিফিট এফেয়ার্স প্রধান রেবেকা শারমিন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম এ সামাদ খান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আবুল হাশেম।
পশুপালন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ রুহুল আমিন বলেন,দুধ ও দুগ্ধ শিল্পে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নিবিড় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। বর্তমানে এই খাতে গবেষণা ও আর্থিক সহায়তার যে ঘাটতি দেখা যায়, তা পূরণের জন্য দুগ্ধ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সম্মিলিতভাবে একটি গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠন করতে পারে।বাইরের দেশে দেখা যায় দুধ ও দুগ্ধ শিল্প সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলিত উদ্যোগে এই দুধ ও দুগ্ধজাতীয় পণ্যের মান উন্নয়নে সচেষ্ট থাকে যা আমাদের দেশে দেখা যায়না এজন্য আমি মনে করি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সামনে এগিয়ে আসা উচিত।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেছেন, সাধারন জনগের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এই দিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য। ভালো পুষ্টি গুণসম্পন্ন দুধ পেতে হলে ভালো জাতের গাভী প্রয়োজন তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ গবেষণাসমূহ এমন হয় যেন ভালো জাতের গাভী এবং এদের ভালো খাবারের মান নিশ্চিত করা।আরও একটি বিষয় দুধ ও দুগ্ধ শিল্পে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন পণ্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করে এবং মূল্য এমন যেন দেওয়া হয় যা সাধারণ সকল মানুষ কিনতে পারে।
Leave a Reply