বাকৃবি প্রতিনিধি:
দেশের কৃষি খাতে চলমান গবেষণাকে আরও টেকসই ও উন্নত করতে এবং প্রান্তিক কৃষকদের কাছে এর সুবিধা পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-তে একটি দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এই কর্মশালাটি ‘বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) চত্বরে অবস্থিত বিনা’র মূলকেন্দ্রে মিলনায়তন কক্ষে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওই প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মাহাবুবুল আলম তরফদার। এর আগে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে প্রকল্পের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।
কর্মশালায় বিনা’র মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অণুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিনা’র প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ড. মো শরিফুল হক ভূঁইয়া, বিনা’র গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মো. হোসেন আলী, প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ড. মো. আজিজুল হক, ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু। এছাড়াও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি এবং বিনা’র প্রধান ও আঞ্চলিক কেন্দ্রের দুই শতাধিক কৃষি কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনলাইনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অণুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু বলেন, ‘দেশের কৃষিখাতেকে এগিয়ে নিতে গবেষণার বিকল্প নেয়। শুধু গবেষণা করে রেখে দিলে চলবে না, গবেষণাকে আরও শক্তিশালী ও সম্প্রসারণ করা যায় সেদিকে কাজ করতে হবে। বিনা গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণের যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেটা এগিয়ে নিতে কৃষি মন্ত্রণালয় পাশে থাকবে।’
এসময় বিনা’র মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাজ মাটিকে ঘিরে, মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে। শুধু মাটিকে ব্যবহার করলাম, মাটি থেকে শুধু নিবো কিছু দিবো না, এমনটি হলে অচিরেই নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন হতে হবে। আমরা বছরে একটি জমি থেকে চারটি ফসলের আশা করি। এজন্য রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা কমিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য আছে বিনার প্রতিটা উপকেন্দ্রে কমপক্ষে ১০০ জন দক্ষ বীজ উৎপাদক তৈরি করবো। এছাড়া মুঠোফোনের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে উদ্ভুত পরিস্থিতি, রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক জানতে মোবাইল অ্যাপস রয়েছে। সেখানে ফসলের আক্রান্ত জায়গার ছবি আপলোড দিলে কোন ধরনের বা কি কারনে ফসলের এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কৃষক সহজেই জানতে পারবে। রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় কীটনাশক বা ভেজষনাশকের উপযুক্ত পরিমান বলে দিবে মোবাইল অ্যাপস। এজন্য আরও সূক্ষ্ম তথ্য যাতে জানাতে পারে তাই অ্যাপসের হালনাগাদ করতে ১০ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করা হবে। যাতে প্রান্তিক কৃষক সহজেই যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে পারে ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেই।’
Leave a Reply