ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এই সব নামগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, এই প্ল্যাটফর্মগুলোর নেপথ্যে যাদের নিয়ন্ত্রণ, তারা সবাই সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করে। আমরা যখন স্ক্রল করি, পোস্ট করি, ভিডিও দেখি কিংবা শেয়ার করি আমরা নিজেরাও জানি না, কোন অদৃশ্য সুতোর টানে আমরা তাদেরই শক্তি বাড়িয়ে চলেছি, যারা ফিলিস্তিনের মাটিতে আগুন ছড়িয়ে দিচ্ছে।
ইসরায়েল যখন মরণাস্ত্রের ঝড় বইয়ে দেয় গাজার আকাশে, তখন হয়তো সেই অস্ত্রের পেছনে থাকে সেই প্রযুক্তি ও অর্থ, যা আসে আমাদেরই ক্লিক, ভিউ এবং ব্যবহার থেকে। হ্যাঁ, একটু গভীরভাবে ভাবলেই বুঝতে পারবেন আমরাও অজান্তেই এই নিপীড়নের অংশীদার হয়ে উঠছি।
আমি এই লেখাটা লিখছি, আপনি হয়তো এটা পড়ছেন এই পুরো প্রক্রিয়াটাও কোনো না কোনোভাবে যাচ্ছে সেই একই ‘সিস্টেম’ এর ভেতরে। কতটা পরাধীন আমরা।
সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, মুসলিম বিশ্ব আজও এসব সোশ্যাল মিডিয়ার বিকল্প তৈরি করতে ব্যর্থ।
কোথায় সেই ইসলামিক সোশ্যাল মিডিয়া? কোথায় সেই স্বাধীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম? যেখানে চীন নিজের মত করে বিকল্প বানিয়ে নিয়েছে, সেখানে আমরা আজো ‘লাইক’ আর ‘রিল’ এর দুনিয়ায় বন্দি হয়ে ইসরাইলকে সহায়তা করছি।
আমরা আজ এক আজব জাতি। চোখের সামনে নির্যাতন চললেও আমরা চুপ।শুধু চুপই না, আমরাই নীরবভাবেই এসব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ইসরায়েলকে শক্তিশালী করছি। আর সেই শক্তিতেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনে রক্তের বন্যা বয়ে দিচ্ছে, যার পরোক্ষ সহায়তাকারি আমরাও।
বাস্তবতা কঠিন, কিন্তু তা অস্বীকার করার উপায় নেই আমরা নিজেরাই নিজেদের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে কাজ করছি।
তানভীর হাসান দিপু – শিক্ষার্থী , বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
Leave a Reply