বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, কোনো অপরাধ ছাড়াই প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা ডিবির হেফাজতে থাকতে হয়েছে। তার ভাষায়, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ডিবি প্রধান কথা বলবেন এমন কথা বলে কয়েকজন সদস্য তাকে বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ডিবি কার্যালয়ে তাকে আসামির খাতায় নাম লেখাতে হয়, জুতা-বেল্ট খুলে সাধারণ গারদে রাখা হয়। তবে আটক করার কারণ কেউই ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের একজন উপদেষ্টার ইশারায় মাত্র কয়েকজন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় তাকে আটক করা হয়েছিল। একই ঘটনায় সংগঠনের সেক্রেটারি আবু সাঈদ পিয়াসও আটক হয়েছেন এবং তিনি এখনও ডিবি কার্যালয়ে আছেন।
আজ বুধবার ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) বিষয়ক বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)-এর একটি প্রেস কনফারেন্স হওয়ার কথা ছিল। সোহেল জানান, তিনি সেখানে মিডিয়া পরামর্শক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তার দাবি, এই সংবাদ সম্মেলন ঠেকানোই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ায় বিষয়টি আরও বেশি মানুষের নজরে এসেছে।
তিনি আরও লিখেছেন, এনইআইআর প্রকল্প দেশের মুক্তবাজার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি কার্যকর হলে ২৫ হাজার মোবাইল ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সাধারণ মানুষও সমস্যায় পড়বে। অভিযোগে তিনি বলেন, সুবিধাভোগী নয়জন ব্যবসায়ীর একজন ওই উপদেষ্টার স্কুল-বন্ধু।
সোহেল প্রশ্ন তোলেন, একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বললে সরকার কেন এত সংবেদনশীল হয়। গভীর রাতে তাকে তুলে নেওয়া কি একটি প্রেস কনফারেন্স বন্ধ করার জন্যই ছিল? তার মতে, শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্বেগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া এবং কাভারেজের কারণেই দ্রুত মুক্তি সম্ভব হয়েছে।









Leave a Reply