ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেননি, বরং মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের একটি ক্রান্তিকালে তাকে দায়িত্ব নিতে হয়েছিল। এটা করেছিলেন তিনি মানুষের মুক্তির জন্য, অর্থনীতির মুক্তি জন্য ও রাজনীতির মুক্তির জন্য।”
শুক্রবার (৩০ মে) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচীর সূচনা বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনের, যে বাংলাদেশে সবাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ পরিচালনা করবে। ঐক্যভদ্ধভাবে দেশের সমৃদ্ধি ঘটাবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শহীদ জিয়া চেয়েছিলেন স্বাধীনতার পরে প্রথম স্থাপিত এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় হবে। আমরা আশা করছি, আমরা বর্তমানে যারা আছি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে পারবো।”
অনুষ্ঠানে প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম এয়াকুৃব আলী বলেন, “শহীদ জিয়া ১৯৭৬ সালের পহেলা ডিসেম্বর ঘোষণা করেছিলেন দেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ তাকে শুধু রাষ্ট্রপতি হিসেবে নয় বরং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। বিরূপ আবহাওয়া থাকলেও আমাদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নাই। শহীদ জিয়ার স্মরণে আজ গরীব দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।”
অনুষ্ঠানের কর্মসূচি হিসেবে হিসেবে প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর চত্বরের উদ্দেশ্যে র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালী শেষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তরে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. এয়াকুব আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মোঃ মনজুরুল হক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থিওলজি অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মো: ফারুকুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো: রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নজিবুল হক, প্রফেসর ড. মো: জাকির হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো: শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ডঃ মোঃ ওবায়দুল ইসলাম, প্রফেসর ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) ড. ওয়ালিদ হাসান পিকুল, গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল মজিদ, তথ্য প্রকাশনা জনসংযোগ অফিসেের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো: সাহেদ হাসান, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামীম আক্তার, আবদুল মুঈদ বাবুল প্রমুখ।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সমিতি, পরিষদ/ফোরাম, অনুষদ, হল, বিভাগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখার নেতৃবৃন্দ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের ইবি শাখা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পর্যায়ক্রমে সুশৃঙ্খলভাবে ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনায় পবিত্র কুরআন খতম এবং বাদ জুম্মা কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের নিচে গরীব-দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply