জুবাইর জিহাদী, কুড়িগ্রাম:
কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে এক দম্পতিকে গতিরোধ করে শ্লীলতাহানি, অপহরণচেষ্টা ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বটতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর বাবা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস রাজীবপুর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান উপজেলার মরিচাকান্দি এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী, তার স্বামী শিহাব, ননদ ও দেবর দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বটতলা এলাকায় মেহেদী হাসান, নিশাত, মো. আশা ও আরও কয়েকজন তাদের পিছু নেয়। পরে মরিচাকান্দি এলাকার একটি সেতুর ওপর তাদের বহনকারী ইজিবাইক গতিরোধ করা হয়।
শিহাব জানান, মেহেদী হাসান তাকে প্রশ্ন করেন, ‘বিশ্বাসের মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছ কোথায়?’ উত্তরে শিহাব বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীকে পালিয়ে নিয়ে যাব কেন? প্রয়োজনে আমার শ্বশুরের মোবাইলে কল দিয়ে নিশ্চিত হন।’
এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মেহেদী হাসান রঞ্জু মিয়াকে ফোন করে দলবল নিয়ে আসতে বলেন। অভিযুক্তরা নিজেদের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে শিহাবের স্ত্রী ও তার চাচাতো বোনের শ্লীলতাহানি করে এবং মুক্তিপণ দাবি করে। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আত্মীয়দের বহনকারী আরেকটি ইজিবাইক সেখানে পৌঁছালে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
রাজীবপুর থানার এসআই আতিকুর জামান জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে অভিযুক্তরা চলাফেরা করত।’
Leave a Reply