শাহরিয়ার স্বর্ণব, হাবিপ্রবি:
হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জুলাই বিপ্লবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মব জাস্টিসের মাধ্যমে নিজেরাই বিচার করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ হাবিপ্রবি শাখার মুখ্য সংগঠক মোঃ সুজন ইসলাম ফেসবুক গ্রুপে মব জাস্টিসের বিষয়ে সকলকে অবগত করেন। ওই পোস্টের কমেন্ট অনেক শিক্ষার্থীকেই তা সমর্থন করতে দেখা যায়।
হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে হাবিপ্রবিতে মব সৃষ্টি করা হবে। প্রশাসনের প্রতি অনেক ভরসা করা হয়েছিল। কিন্তু হাবিপ্রবি প্রশাসন এদের বিচার করার পরিবর্তে বরং হামলাকারীদের পুনর্বাসন করতেছে। আমাদের কাছে যাদের সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে তারা আগামীকাল থেকে ক্যাম্পাস এরিয়ায় দেখলেই মব করা হবে। কাল থেকে কোনো হামলাকারী ক্লাস পরিক্ষা দিতে পারবে না। যেখানে দেখবেন আমাদের নক করবেন। ছাত্রলীগের কর্মীরা আবারও বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে সক্রিয় হচ্ছে। হাবিপ্রবিতে হামলার সাথে জড়িত থেকে বাড়ি গিয়ে যদি সে মক্কা থেকে হজ্জ করে আসে তবুও তার ক্ষমা হবে না। আর শেল্টার দাতাদের লিস্ট করা হবে এবার। আর ওদিকে ১৬ জন ওলি আউলিয়ারও ব্যবস্থা করা হবে। অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাদের শেল্টার দেয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যেদলেরই হোন না কেন,অন্যায়ের সাথে আপোষ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ হতে ৫ আগষ্ট ২০২৪ খ্রিঃ ও তৎপরবর্তী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সহিংস ঘটনার তথ্য উদঘাটনের জন্য গত বছরের ৭ নভেম্বর একটি সত্যান্বেষণ কমিটি গঠন করা হয়। তবে এই কমিটি সম্বন্ধে কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সকল তথ্য প্রমান জমা দিলেও তদন্তের নামে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের তথ্য প্রকাশ করছেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলাকারীরা এমন ভাবে চলাফেরা করছে যেন তারা কোনো অপরাধ করেনি। আমরা যখন অপরাধীদের ধরতে যাই তখন প্রশাসন থেকে বলে যে তারা একটা কমিটি করেছে এই কমিটি বিষয়টি দেখছে। আমাদের ধারণা, এই তদন্ত কমিটি অনেক হামলাকারীর সাথে আঁতাত করেছে। তবে আমাদের দেয়া তথ্যের একজনও বাদ পরলে অবশ্যই তদন্ত কমিটিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন হাবিপ্রবি শাখার মুখ্য সংগঠক সুজন ইসলাম বলেন,”আমরা একটি অথেন্টিক সোর্স থেকে জানতে পেরেছি যাদের অনার্স মাস্টার্স শেষ তাদের নামমাত্র শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং যারা রানিং স্টুডেন্ট তাদের কোন ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাই প্রশাসন থেকে এই লিস্টটা প্রকাশিত করার সাহস পাচ্ছে না।”
আরেক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার জিহাদ বলেন, “ছাত্রলীগ নেতা মিঠুর খাস চামচা গুলা ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে হাটছে। এবার ধরলে সোজা মব জাস্টিস হবে। ঠেং ভাঙ্গা থেকে শুরু করে আনুষঙ্গিক অনেক কিছু ভাঙ্গা হবে।আর যারা সেল্টার দিতে আসবে তাদেরকে সব ভাঙ্গা হবে ইনশাআল্লাহ।”
Leave a Reply