মাইদুল ইসলাম শফিক, বানারীপাড়া :
বরিশালের বানারীপাড়া পৌরসভার সড়কগুলোর পিচ,খোয়া ও পাথর উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।সড়কগুলোতে খানাখন্দ হয়ে ছোট বড় অসংখ্য পুকুরের মতো গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারনে বিপদসঙ্কুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।যার কারনে সড়কে চলাচলরত যানবাহন প্রায় দিনই বিপদের সম্মূখিন হচ্ছে।এ থেকে ঘটতে পারে বড় কোনো দূর্ঘটনা।পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড থেকে ৯ নং ওয়ার্ড পর্যন্ত কোনো সড়কই মানুষের চলাচলের উপযুক্ত নেই।ফেরিঘাট থেকে বাসস্ট্যান্ড হয়ে হাসপাতালে প্রসূতি রোগী,বৃদ্ধ ও অন্যান্য অসুস্থ মানুষ চিকিৎসা নিতে আসে। কিন্তু সড়কের বেহাল দশা হওয়ার কারনে এসব মানুষ খরার উপরে মরার ঘা পরিস্থিতির শিকার হন।এছাড়াও ১ নং ওয়ার্ডের সকল সড়ক,২নং ওয়ার্ডের বন্দর বাজার হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার বাইপাস ,কলেজ মোড় হয়ে নাজিরপুর যাওয়ার সড়ক,ডাকবাংলো হয়ে ৪,৫ ও ৭নং ওয়ার্ডে যাওয়ার সড়ক, বানারীপাড়া হাইস্কুলের সামনের ও পিছনের দুইটি বাইপাস,বানারীপাড়া কলেজ হয়ে হাইস্কুলে যাওয়ার সড়কসহ পৌরসভার সকল সড়কেরই এ বেহাল দশা।তাছাড়াও পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নিম্নমানের হওয়ার কারনে বিভিন্ন সড়ক,মাঠ ও জলাশয়ে পানিবদ্ধতার সৃস্টি হয়।পৌরসভায় রয়েছে একটি কলেজ,একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ফাজিল মাদ্রাসা,তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,দুইটি প্রাইমারি স্কুল, দুইটি কিন্ডারগার্টেন, কয়েকটি নূরানি ও হাফেজি মাদ্রাসা।সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
পৌরবাসিগন অভিযোগ করে বলেন নিয়মিত পৌর কর পরিশোধ করা সত্ত্বেও তারা পৌরসভা থেকে তেমন কোনো উন্নত সূযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না।তারা এর কারন হিসেবে জানান বিগত সরকারের সময়ে কতিপয় ঠিকাদার আঙ্গুল ফুলে, কলা গাছ বনে গেছেন।তারা পৌরসভা থেকে বিভিন্ন কাজের কন্টাক্ট নিয়ে নিম্নমানের কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।যার ভুক্তভোগী হয়েছেন পৌরসভায় বসবাসরত কয়েক হাজার জনগন।এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া পৌরসভায় সদ্য যোগদানকৃত পৌর প্রশাসক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আহসান হাফিজ বলেন, পৌরবাসীর দুর্ভোগ দূর করা আমাদের কাজ। আমরা ইতোমধ্যে পৌরসভায় এ বিষয়ে একটি সভা করেছি।আমি নিজে পৌরশহর ঘুরে দেখে পৌর শহরের চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়া বেহাল সড়কগুলা দ্রুত সংস্কার এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি কি কারনে এসব সড়ক অতিসত্বর খারাপ হয়ে যায় তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো।এ ব্যাপারে তিনি পৌরবাসির সহযোগিতা কামনা করেছেন ।
Leave a Reply