1. mtim30408@gmail.com : Khondokar Rakibul : Khondokar Rakibul
  2. admin@campus24.news : campus24news :
  3. khondokarrakibit5@gmail.com : Khandkar Rakibul Islam : Khondokar Rakibul Islam
  4. mdnajmulhasan8652@gmail.com : mdnajmulhasan hasan : Md. Najmul Hasan
  5. mdriponsaharia@gmail.com : mdriponsaharia saharia : mdriponsaharia saharia
মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
কৃষিগুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বাকৃবিতে ‘বাউ এক্সাম হল ফাইন্ডার’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইবিতে ইউট্যাব ও জিয়া পরিষদের শোক আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে হাবিপ্রবিসাস, ইউট্যাব ও সাদা দলের শোক প্রকাশ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোবিপ্রবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ শীতার্তদের পাশে রাজশাহী কলেজের চার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক, ক্লাস–পরীক্ষা স্থগিত বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইউট্যাব-হাবিপ্রবি ইউনিটের শোকবার্তা আরসিসিসি’র নেতৃত্বে ইসমাইল- বিশাল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ইবি ছাত্রদলের শোকবার্তা জাতীয় শোক উপলক্ষে ইবির দুই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত

৭২৮ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি বগুড়া-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী রফিক

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭৭ বার পাঠ করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : বেসরকারি দুটি ব্যাংকের শীর্ষ ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্যতম বগুড়া ১ আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম। ব্যাংক দুটির কাছে তার খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ শত ২৮ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও অর্থঋণ আদালতে হওয়া মামলা সুত্রে এই তথ্য পাওয়া যায়।

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক কাজী রফিকুল ইসলাম ২০০৯ সালে ৪০ কোটি টাকা ব্যক্তি ঋণের মাধ্যমে এই ব্যাংকের সঙ্গে তার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম শুরু করেন। তার প্রধান ব্যবসা দেখানো হয় ভূমি উন্নয়ন ও ইমারত নির্মাণ। পরবর্তীতে তিনবার ঋণ বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তার মোট ঋণের পরিমান দাঁড়ায় ৮০ কোটি টাকা।

ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত সুদ ও আসল সহ তার কাছে পাওনা দাঁড়িয়েছে ২৮০ কোটি টাকা। বর্তমানে গ্রাহকের ঋণটি মন্দমানে (খেলাপী) শ্রেণিকৃত।

ঋণটি মন্দমানে থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে সিআর-৩৮৭২/২৪ একটি মামলা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাকে যাতে ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো না হয় এজন্য তিনি আদালত থেকে তার খেলাপি ঋণের বিপরীতে একটি স্টে অর্ডার নিয়েছেন।’

তিনি বলেন, গ্রাহক আমাদের কাছে ঋণটি নীতিমালার আওতায় পুনঃতফসিল করতে এসেছেন, তবে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম বর্তমানে সচল নেই বিধায় আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেইনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবি তথ্য বলছে, কাজী রফিকুল ইসলামের ব্যক্তি নামে দুটি খেলাপি ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৭৭ কোটি টাকা, এছাড়া এক্সিম ব্যাংকের ৭৭ কোটি টাকা। তবে এই দুটি ঋণই ব্যাংকের কাছে খেলাপি গ্রাহক হিসেবে থাকলেও আদালতের মাধ্যমে গ্রাহক স্টে অর্ডার নিয়েছেন তিনি।

একই সঙ্গে সিআইবি তথ্য অনুযায়ী ও.কে প্রপার্টিজ কোম্পানির নামে এক্সিম ব্যাংকের ২০৪ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে, যদিও এই ঋণটির ক্ষেত্রেও আদালতের মাধ্যমে স্টে অর্ডার নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সিআইবি তথ্য অনুযায়ী এ ব্যক্তির মোট খেলাপি ঋণ রয়েছে ৫৫৮ কোটি টাকা।

এক্সিম ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, কাজী রফিকুল ইসলাম এমডি ও চেয়ারম্যান এমন “ওকে গ্রুপ” এর নামে মোট ঋণ রয়েছে ৪৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ও.কে ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ৭৭ কোটি টাকা, ও.কে এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেডের নামে ২০৩ কোটি টাকা এবং ও.কে প্রপার্টিজের নামে ২০৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে আরও যে ঋণ খেলাপি মামলা

ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের গুলশান ব্রাঞ্চে মেজর খন্দকার নুরুল আফসার নামে এক ব্যক্তির ৩৯৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণের বিপরীতে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় নুরুল আফসারসহ আরও আটজন কে একই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

অর্থঋণ আদালতের ৬৬৪/২৫ মামলার এজাহার সূত্রে দেখা যায়, এই মামলার করপোরেট গ্যারান্টর হিসেবে আসামি রয়েছেন নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। একই মামলায় তৃতীয় আসামি রয়েছেন পার্সোনাল ও করপোরেট জামিনদার হিসেবে কাজী রফিকুল ইসলাম। রেন্স রিয়েল এস্টেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানও একই মামলার আসামি।

মামলার বিবরণী সূত্রে দেখা যায়, বর্তমানে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রিন্সিপাল অ্যামাউন্টের পরিমাণ রয়েছে ১৪৮ কোটি টাকা। বাকি অর্থ সুদ ও অন্যান্য চার্জ বাবদ রয়েছে। গ্রাহক ২০০৯ সালে এ পর্যন্ত এই ঋণের বিপরিতে পরিশোধ করেছেন মাত্র ১৫ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রতিবেদককে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্রাহক ঋণটি নিয়েছেন পরিশোধ না করার উদ্দেশ্যে। বছরের পর বছর ঋণ পরিশোধ না করেও নানা রাজনৈতিক প্রভাবে ব্যাংকারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলাপি ঋণগুলোকে রেগুলার ঋণ দেখাতে বাধ্য করেছে।

‘শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন এসব ঋণ খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়েছে। তবে এসব গ্রাহক আমাদের কাছে শীর্ষ খেলাপি হলেও আদালতের মাধ্যমে তাদের খেলাপি ঋণের ওপর স্টে অর্ডার নিয়ে রেখেছে।

আইন কী বলছে খেলাপি প্রার্থীদের বিষয়ে

বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন চান একজন গ্রাহকের সিআইবি স্ট্যাটাস কিরূপ অবস্থানে রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে স্টে অর্ডার নিলেও তিনি খেলাপি গ্রাহক থেকেই যান। তবে আদালতের স্টে অর্ডারের কারণে সিআইবিতে তার খেলাপি ঋণের পাশে স্টে অর্ডার লেখা থাকবে।

এ আইনজীবী বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের উচিত নয় একজন খেলাপি গ্রাহককে তাদের দলীয় প্রার্থী বানানো। কারণ সেই প্রার্থীর নৈতিকতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাকে জনগণের কাছে গিয়ে মিশতে হয়। এমন একজন খেলাপি গ্রাহক সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে মিশলে দলীয় ইমেজ নষ্ট হয়।’

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, আদালতের মাধ্যমে একজন গ্রাহকের খেলাপি ঋণে স্টে অর্ডার দেওয়া হলেও তিনি একজন খেলাপি গ্রাহকই। আদালত তার খেলাপি ঋণের স্ট্যাটাসে স্টে অর্ডার দিয়েছে, তবে তিনি যে খেলাপি গ্রাহক নন তা আদালত বলতে পারে না। আর এমন খেলাপি গ্রাহকদের নির্বাচন করার সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংক যা বলছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোনো সংসদীয় প্রার্থী যদি ব্যাংকের খেলাপি গ্রাহক হয়, আদালতের কাছেও তিনি খেলাপি। তবে আদালত তাকে তিন মাসের জন্য স্টে অর্ডার দিয়ে সিআইবিতে খেলাপি না দেখানোর জন্য নির্দেশনা দিতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন বরাবর খেলাপি গ্রাহকদের খেলাপি হিসেবে দেখাবো। তবে এটাও উল্লেখ করবো যে উক্ত গ্রাহক আদালত থেকে নির্ধারিত সময়ের জন্য স্টে অর্ডার নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং আচরণবিধিতে আরেক দফা সংশোধনী আনতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কোনো গ্রাহক আদালতের স্টে অর্ডার নিয়ে নির্বাচন করতে পারলেও নির্বাচন পরবর্তী ৫ বছরের মধ্যে যেকোনো সময় খেলাপি হলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। তবে চূড়ান্ত হলে খেলাপি গ্রাহকরা আরও সতর্ক হবেন।’

তবে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি জানিয়েছেন, এবার কেউ আদালতের স্থগিতাদেশ নিলেও ঋণ তথ্য ব্যুরোতে (সিআইবি) তাঁকে খেলাপি দেখানো হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর ১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সিআইবিতে ঋণখেলাপি

হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তি জাতীয় সংসদের সদস্য হওয়ার যোগ্য হন না।

কে এই কাজী রফিক

কাজী রফিকুল ইসলাম বিএনপি থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বার তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের হয়ে একই আসনে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।

এনএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২৫  
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি