
নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২৬) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বই ছাপার কাজ প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। তবে মাধ্যমিকের তিন শ্রেণির বই ছাপার জন্য প্রেসগুলোর সঙ্গে এখনও চুক্তিবদ্ধও হতে পারেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশের ৫৮৫ বিতরণ কেন্দ্রে বই পৌঁছানোর কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
জানা গেছে, ছাপার কাজ এখনও শুরু না হওয়ায় আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে না বলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানুয়ারি পার হয়ে ফেব্রুয়ারি কিংবা তারও পরে তাদের হাতে বই পৌঁছাতে পারে।এনসিটিবির সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রায় ৩ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৩৪৭টি বইয়ের ছাপার কাজ ৫০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। ৩৫টি প্রেসে এ কাজ চলমান রয়েছে। ৯ম শ্রেণির ৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ২৮টি বইয়ের ইতোমধ্যে পাঁচটি প্রেসে ছাপার কাজ শুরু হয়েছে।
৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির বই ছাপাতে প্রেসগুলোর সঙ্গে এখনো চুক্তিই করতে পারেনি বলে এনসিটিবির সূত্র জানিয়েছে। তবে এসব শ্রেণির বই ছাপার কাজ করাতে খুব শিগগিরই প্রেসগুলোর সঙ্গে চুক্তি করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।জানা গেছে, ৯৭টি প্রেসে মাধ্যমিকের বই ছাপার কাজ দেওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০টি প্রেসের সঙ্গে এনসিটিবি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। পাঁচটি প্রেসে ৯ম শ্রেণির বইয়ের ছাপার কাজ শুরুও হয়েছে।জানা গেছে, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির মোট বইয়ের সংখ্যা যথাক্রমে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৫০৯, ৪ কোটি ১৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯২ ও ৪ কোটি ২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯৮টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনসিটিবির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রেসের সঙ্গে চুক্তি হওয়ার পর ২৮ দিনের মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ২৮ দিন সময় থাকে। সে হিসেবে নভেম্বর মাস শেষ হয়ে যাবে। ছাপার কাজ শুরু হতে ডিসেম্বর মাস হয়ে যাবে।
এতে নতুন বছরের শুরুর মাসে ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সময়মতো বই পাবে না।এ বিষয়ে জানতে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর রবিউল কবীর চৌধুরী ও সদস্য (পাঠ্যপুস্তক) প্রফেসর ড. রিয়াদ চৌধুরীকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply