মোঃসাজেদুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি মিঠাপুকুর
রংপুর ২৩, মিঠাপুকুর-৫ আসনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে একটি নাম,অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। দুই প্রার্থী কাকতালীয়ভাবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুটি ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে।
একজন অধ্যাপক গোলাম রব্বানী আমির, রংপুর জেলা শাখা, বাংদেশ জামায়াত ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী( দাঁড়িপাল্লা মার্কা) ,অন্যজন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির (ধানের শীষ) উপজেলা সভাপতি মনোনয়ন পেয়েছেন।দুজনই একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েছেন এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে।
মিঠাপুকুর -৫ আসনে বিএনপির গোলাম রব্বানী বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার আমাদের ভোট কেড়ে নিয়েছিল, এবার ধানের শীষের জয় হবেই।মানুষ ভোট প্রদানের সুযোগ পেলে যারাই প্রতিদ্বন্দ্বী হোক না কেন আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
অপরপক্ষে জামায়াতের একক প্রার্থী গোলাম রব্বানীও দাবি করছেন জনগণের সমর্থন প্রতিনিয়ত তাদের দিকে ঝুঁকছে।তিনি বলেন,২০১৪ সালে ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয় পেলেও আওয়ামী লীগের বাকশালী রাজনীতির শিকার হয়েছি। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। কিন্তু ৫ আগস্টে ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পাবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে জামায়াত ব্যাপক ভোটে জয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।
মিঠাপুকুর উপজেলা আসনে মোট ১৭টি ইউনিয়ন ও ১৫৩ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এ আসনে জামায়াতের একটি স্থায়ী ভোটব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় শক্ত অবস্থানে । অতীতে উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন নির্বাচনে দলটি ভালো ফলাফল করেছিল বলে জানা যায়।
বিএনপি নেতারা বলছেন, জাতীয় ইস্যু এবং বিরোধী জোটের ঐক্যের কারণে এবারও তারা এই আসনে ভালো ফলাফলের আশা করছেন।মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে সাধারন জনগণ, তারা দ্রুত সময়ে নির্বাচন চায়। যেখানেই যাই, মানুষ শুধু দ্রুত ভোটের কথা বলে। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক।
দুই দলের সমর্থকরা ইতিমধ্যে মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। ফলে রংপুর-৫ আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন অনেকটা একই নামের দুই প্রার্থীর লড়াই-তে রূপ নিয়েছে।