তার এই উপাধি যেমন হঠাৎ এসেছে, তেমনি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে টকশো পর্যন্ত; সবখানেই এখন আলোচনায় ‘ফজু পাগলা’।
৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সরব হয়ে ওঠেন ফজলুর রহমান। বিভিন্ন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ও জনসভায় ফজলুর রহমান সরল, কখনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য আলোড়ন তোলেন। এই সময় একটি পক্ষ তাকে ব্যঙ্গ করে ‘ফজু পাগলা’ বলতে শুরু করেন। কিন্তু বিদ্রূপের বদলে তিনি সেই উপাধিকে বরণ করেন হাসিমুখে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফজলুর রহমান বলেন, ‘ফজু পাগলা! আমি দেখলাম কথা তো ঠিকই বলেছে! তাদের ধন্যবাদ দেই। মুফতি আমির হামজা, মাওলানা আজহারী, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ দেই আমাকে ফজু পাগলা বলার জন্য।
ফজলুর রহমান তার এই উপাধিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘পাগলা তো সাংঘাতিক একটা উপাধি। আমি এটা চিন্তা কইরা বের করেছি, আমাকে পাগলা নামটা দিল কেন মাওলানা নামধারী লোকগুলো। এটা কিন্তু ঠিকই বলছে, কারণ পাগলা মসজিদ যত সম্পদ পায়, মানুষ আমাকেও সব কিছু দিয়ে দেয়। খুব ভালো হইছে।’
অন্যদিকে দলীয় পদ স্থগিত থাকলেও ফজলুর রহমান থেমে থাকেননি। মাঠে-ময়দানে সক্রিয় এই নেতা এখন বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ভোটযুদ্ধে নামছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সব সময় মানুষের পাশে ছিলাম। হাস্যরসের মধ্য দিয়েও মানুষকে সত্য কথা বলতে শিখেছি।’









Leave a Reply