
পুলিশ জানায়, তাকে কেউ অপহরণ করেনি বরং পুরো ঘটনাই ছিল তার নিজের পরিকল্পিত আয়োজন। তদন্তে যুক্ত পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নিজেই নিজের পায়ে শিকল লাগিয়ে শুয়ে ছিলেন এবং ঘটনাটিকে অপহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেন।
যে সময় ও স্থান থেকে তাকে তুলে নেওয়ার দাবি করা হয়েছিল, সেই সময়ের একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় কোনো অপহরণের প্রমাণ মেলেনি।
সামাজিক মাধ্যমে ‘মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী’ নামে পরিচিত এই আলেম দাবি করেছিলেন, ২২ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর শিলমুন এলাকার একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে অপহরণ করা হয়। পরদিন পঞ্চগড়ের একটি স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধারের কথাও নিজেই সংবাদমাধ্যমে জানান। তিনি আরও বলেছিলেন, অপহরণের আগে উড়ো চিঠিতে একাধিকবার হুমকি পেয়েছিলেন এবং অপহরণের পর নির্যাতনের শিকার হন।
তবে মঙ্গলবার সকালে জুলকারনাইন সায়েরের সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে এমন কোনো অপহরণের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের ভাষ্য, এটি একটি পরিকল্পিত ‘স্বনির্মিত অপহরণ নাটক’। এর উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। তদন্ত কর্মকর্তারা বিষয়টির পেছনের মানসিক ও ব্যক্তিগত কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখন সবার একটাই প্রশ্ন—কেন এমন নাটক সাজালেন মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
Leave a Reply