আগামীকাল ৯ অক্টোবর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ম্যাচ ঘিরে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা।
কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা সামিত সোম বাংলাদেশের জার্সিতে একমাত্র ম্যাচটি খেলেছেন ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচটি খেলতে পারেননি ভ্রমণ ক্লান্তির জন্য। কারণ তিনি ৪ জুন সকালে এসে ঢাকায় পৌঁছান।
সামিত দলে যোগ দেওয়ার পর আজ প্রথমবার পূর্ণ অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে সফরকারী হংকং দল ঢাকায় পৌঁছে গতকাল উত্তরার পুলিশ মাঠে প্রায় দেড় ঘণ্টা অনুশীলন করেছে। তারা আজ ম্যাচ ভেন্যুতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নেবে। যদিও বাফুফের পক্ষ থেকে বিদেশি দলের আগমন বা অনুশীলন নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য গণমাধ্যমে জানানো হয়নি।
বাংলাদেশ-হংকং ম্যাচকে কেন্দ্র করে শুধু দেশের নয়, বিদেশি দর্শকদের মাঝেও আগ্রহ দেখা গেছে। আজ স্টেডিয়ামের বাইরে দেখা গেছে হংকং থেকে আগত দুই তরুণ সমর্থক হো ও কিফকে। তারা জানায়, হংকং ফুটবল ফেডারেশন থেকে প্রায় ১০০ জন সমর্থক এই ম্যাচের টিকিট সংগ্রহ করেছে। তারা আজ ও আগামীকালের মধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।
বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ডার হামজা দেওয়ান চৌধুরী জানিয়েছেন, হংকং র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকলেও জয় পাওয়ার মতো সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। তিনি বলেন, ‘এখুব চান্স আছে। আমি কোচের সঙ্গে মিশছি। আমাদের ট্যালেন্ট আছে, আগ্রেসিভনেস আছে। শুধু আত্মবিশ্বাস দরকার। ইনশা আল্লাহ আমরা উইনিং টিম হমু।’
সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর সমালোচনা হয় কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার কৌশল ও সিদ্ধান্ত নিয়ে। এ প্রসঙ্গে হামজা বলেন, ‘আপনার নিজের মতামত আছে, অন্য কারও ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আমরা মাঠে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। দিনটা আমাদের ছিল না। শেষদিকে একটা পেনাল্টি আমাদের পাওয়া উচিত ছিল। তবে আমরা কোচের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি, বিশেষ করে আমি।’
কোচের পরিকল্পনায় তাঁর নিজস্ব ভূমিকা আছে বলেও জানান হামজা। ‘কোচ বড় সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু বিষয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করেন। আমি আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে সহযোগিতা করি। দল গত এক সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। ইনশা আল্লাহ, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে।’