শাহজালাল শ্রাবণ, গঙ্গাচড়া (রংপুর):
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পাওয়ায় এক মৎস্যচাষীর পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া ফকিরপাড়া গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী আনিছুর রহমান (৩৬) ওই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের হিরু (৩২), আসাদ (৩৫), মামুন (৪০), মুসা (৪৫)সহ আরও অনেকে।
আনিছুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় এক পরিবারের সঙ্গে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলমান। এ দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জমি মাপজোকের সময় তারা আবারও চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে এবং প্রাণনাশসহ নানা ক্ষতির হুমকি দেয়। ওই ঘটনায় আমার মা আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা আমার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁর দাবি, অভিযুক্ত হিরু মিয়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা, সেই সুবাদে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
স্থানীয় বকুল মিয়া ও চাঁদ মিয়া জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা পুকুরে মরা মাছ ভেসে থাকতে দেখি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা দেশের সম্পদ ও মৎস্যচাষীর আর্থিক ক্ষতি করেছে। এদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
অভিযুক্ত হিরু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে আমার পূর্বশত্রুতা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য তারা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। তিনি দাবি করেন, তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান বলেন, এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।