পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছায় পরকীয়া প্রেমের জেরে জেসমিন নাহার কাকলি (৩১) নামে দুই সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে নিহতের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সযোগে তার বাবার বাড়িতে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুক কান্দিতে রেখে পালিয়ে যান স্বামী আবু রায়হান মিয়া। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিনের কোনো এক সময় গাজীপুরের কোনাবাড়িতে স্বামীর কর্মস্থলের ভাড়া বাসায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে নিহতের পরিবারের লোকজন জানিয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের তালুক কান্দি গ্রামের ইলিয়াস আলী খানের মেয়ে জেসমিন নাহার কাকলির সঙ্গে একই গ্রামের আবু বক্কর মিয়ার ছেলে আবু রায়হানের প্রায় ১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। বড় ছেলের বয়স ১১ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স ৪ বছর।
বিয়ের পর থেকে কাকলি শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করলেও প্রায় ৮ মাস আগে স্বামী তাকে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নিজের কর্মস্থলে নিয়ে যান। সেখানে তারা ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন।
কিছুদিন আগে আবু রায়হান পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার দিনের কোনো এক সময় আবু রায়হান জেসমিন নাহার কাকলিকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে বুধবার ভোরে গোপনে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ নিহতের পিতা ইলিয়াস খানের বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান রায়হান।
নিহতের পিতা ইলিয়াস আলী খান বলেন, 'আমার মেয়ের সুখের সংসার ছিল। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর জামাতা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানির পর মেয়ের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জেরেই আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় আবু রায়হান।'
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া বলেন, 'মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।