নিশান খান
জাবি প্রতিনিধি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (হাবিপ্রবিসাস) অফিস ভাঙচুর এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাবি প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এস এম তাওহিদ কতৃর্ক স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজহাতুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইবনে মোবারক বলেন, “সাংবাদিক সমিতিতে হামলার মতো এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের তদন্ত করে জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।” তারা আরও বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, এর কণ্ঠ রোধের চেষ্টা ফ্যাসিবাদী মানসিকতার প্রকাশ।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও ছাত্র রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এ সময়েও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দ্বারা সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হয়রানির ঘটনা নিয়মিত ঘটছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেতৃবৃন্দ জোর দিয়ে বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধি ও দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। “গণমাধ্যমের ওপর এমন আঘাত কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না,”—বলেন তারা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ২৯ জুন রবিবার হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পলাশ বার্নার্ড দাস, সদস্য নাজমুল ইসলাম ইমন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম আশরাফী বিভাগীয় সহপাঠী রোকনকে অবৈধভাবে হলে তোলার চেষ্টা করেন, যা হল সুপার বাঁধা দিলে ব্যর্থ হয়। পরে ওই ঘটনার ভিডিও সাংবাদিক সমিতি প্রকাশ করলে পরদিন ৩০ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় শামীম আশরাফী ৮-১২ জন সহযোগী নিয়ে হাবিপ্রবিসাসের অফিসে এসে কাউকে না পেয়ে অফিস ও ক্যাফেটেরিয়ায় ভাঙচুর চালায় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।