মাইদুল ইসলাম শফিক , বানারীপাড়া
বরিশালের বানারীপাড়া থানায় ডাকাতি মামলার তিন আসামি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আটক হয়েছে।জানাগেছে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় Rab -10 তাদেরকে আটক করেছে। আটককৃত আসামিরা হলো নেছারাবাদ থানার সোহাগদল গ্রামের বাদশা বেপারির ছেলে মোঃ সোহাগ বেপারি (৩৫), একই উপজেলার উত্তর- পশ্চিম সোহাগদলের মজনু মাঝির ছেলে নাসির মাঝি(৪০) এবং বানারীপাড়া উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত জাকারিয়া হোসেনের ছেলে মোঃ মোঃ মীর লিটন ওরফে আলামিন (৫০)।গত ২১ এপ্রিল গভীর রাতে উপজেলার বাইশারী গ্রামে মিজানুর রহমান বাবুল দফাদারের বাড়িতে এক দুধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হয়।ওইদিন বাবুল দফাদার বানারীপাড়া উপজেলার গরদ্ধার গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে মোঃশহিদুল ইসলাম মানিক ও মৃত আঃ রব এর ছেলে কালুসহ আরো ৫/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে বানারীপাড়া থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।একই দিন শহিদুল ইসলাম মানিককে পুলিশ বন্দর বাজার থেকে গ্রেফতার করে পরেরদিন বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করেন।বানারীপাড়া থানা পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৪ দফায় মোট ৮ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ওই ডাকাত সদস্যরা থানা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার বাইশারী ও সলিয়াবাকপুরে ডাকাতিকার্য সংগঠিত করার সত্যতা স্বীকার করে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই চন্দন কুমার রায় জানান মামলা দায়েরের পর থেকে বানারীপাড়া টিম পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতারে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি এবং আমরা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।এব্যাপারে বানারীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তফা জানান আসামিদের গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং এ অপরাধের সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে চিন্তিত করার চেষ্টা চলছে।উল্লেখ্য গত ২১ এপ্রিল শহিদুল ইসলাম মানিককে মামলার বাদী বাবুল দফাদার ডাকাত সন্দেহে আসামি করা এবং থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করায় এলাকায় তুমুল প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।২৪ এপ্রিল মানিক একজন নির্দোষ ও ভালো মানুষ দাবি করে তার স্বজনরা ও এলাকাবাসী একটি মানববন্ধন করে।তবে একের পর ডাকাত সদস্যরা আটক হওয়ায় বানারীপাড়া উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।অত্র উপজেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বানারীপাড়া থানা পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছে।