ইবি, প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
রবিবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সমবেত বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনের ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’; ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই; উই ওয়ান্ট উই ওয়ান্ট, জাস্টিস জাস্টিস’; ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’; ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’; ‘আমাদের সংগ্রাম, চলছেই চলবে’, ‘ছাত্রদলের সংগ্রাম, চলছেই চলবে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন নেতাকর্মীরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সদস্য : সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, রাকিব হোসেন সাক্ষর, উল্লাস হোসেন, রুকনুজ্জামান, রিফাত, আলীনুর রহমান প্রমুখ ।
সমাবেশে মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, "জুলাই আন্দোলনে সাম্যের যেই অবদান তা ভুলে যাওয়ার মতো না কিন্তু আমরা শুধু ছাএদল বাদে অন্য কোনো সংগঠনকে এই হত্যার প্রতিবাদ মিছিল মিটিং করতে দেখি নাই। আমরা সরকারের কাছে সাম্য হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং জড়িত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। ছাত্রদলের কোনো কর্মী এর উপর আঘাত আসলে ছাএদল দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিবে"।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, "আমাদের ভাই যে জুলাইয়ের সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিল, তাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হত্যা করেছে একটি দুর্বৃত্ত চক্র। এখনো তার হত্যাকারীদের বিচার করা হয়নি। আমরা ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের কাছে দ্রুত বিচাররের দাবি জানাই। একটা হত্যাকান্ড ঘটতেই পারে। কিন্তু তার বিচার করতে হবে। আমরা চাই মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেলা করুক, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। কিন্তু বাংলাদেশে একটি পাকিস্তানি বা গুজরাটি চক্র জন্ম নিয়েছে। যারা বলছে সাম্য সেখানে মাদক সেবন করতে গিয়েছিল। যে যত অপরাধী হোক না কেন? সে যেভাবেই মরুক তার তদন্ত হতে হবে। কিন্তু এই গুজরাটি চক্র বলছে কেন ওখানে গিয়েছে?
তিনি আরও বলেন, শুধু এটুকু বলেই ক্ষান্ত নেই যে সে সেখানে মাদক সেবন করতে গিয়েছে? বরং তারা বলছে ছাত্রদলের মেয়েরা দৌলতদিয়া ঘাটের যৌনপল্লির পতিতা। প্রশাসনকে এগুলা আইডেন্টিফাই করতে হবে। যারা বাংলাদেশকে ভালবাসে, ইসলামকে ভালোবাসে তারা হুটহাট ব্লেইম করতে পারে না। সবশেষে আমি বলতে চাই আমার ভাই সম্পর্কে যারা হত্যা করেছে তাদের অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করতে হবে। এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।"