জবি প্রতিনিধি
১৪ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জবি) লং মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে কাকরাইল মসজিদের মোড়ের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের উপর পুলিশ হামলা চালায়। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
আজ রবিবার ( ১৮ মে) দুপুর দুইটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ( জবি) ভাস্কর্য চত্বরে পুলিশের হামলার বিচারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি এ মানববন্ধন কর্মসূচী আয়োজন করে। এ মানববন্ধনে হিউম্যান রাইটস সোসাইটির নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন জুলাই অভ্যুথানের পরে এটিই মনে হয় প্রথম এমনভাবে পুলিশের দ্বারা হামলার শিকার এবং সমগ্র এশিয়ার মধ্যে এটিই একমাত্র ঘটনা যেটাতে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ের জন্য রক্ত দিতে হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন পুলিশের এই হামলা আন্তর্জাতিক যত আইন আছে এবং জাতিসংঘের যে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের যে আইন আছে তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, আমাদের শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। উপদেষ্টার সাথে যা হয়েছে তার নিন্দা জানিচ্ছি। তবে উপদেষ্টা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ফ্যাসিস্ট হাসিনার সংস্কৃতি। আমরা এরকম চলতে দিতে পারি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী তানভীর রহমান কায়েস বলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি ন্যায্য দাবি নিয়ে আন্দোলন করতেছিলো কিন্তু ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এ রকম যৌক্তিক আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করবে এইটা কল্পনা করা যায় না। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সাংবিধানিকভাবে যে কারো আন্দোলন সমাবেশ করার অধিকার আছে কিন্তু তারা আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে যা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। ###