ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি
হল, আবাসন ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে চলমান আন্দোলনের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি পূরণ করার মৌখিক নিশ্চয়তা দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। মৌখিক ভাবে দাবি পূরণের কথা বললেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা কমেনি এখনো। কারণ এর আগেও কয়েকবার মৌখিকভাবে দাবি পূরণের কথা বললেও কোন কাজ হয়নি।
গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৮ টায় মৌখিক দাবি পূরণের পর শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
তারা বলেন, " এর আগেও মৌখিকভাবে আমাদেরকে বলা হয়েছিল কিন্তু কোন ফলাফল আমরা পাইনি।"
জানা যায়, অনেকেই লিখিত আসা পর্যন্ত কাকরাইল মোড়েই অবস্থান করবেন বলে জানান পরে শিক্ষকদের ও জবি ঐক্যের আশ্বাসে তারা কাকরাইল মোড় ত্যাগ করেন।
আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি আদায়ের ব্যাপারে সন্দেহ করেন অনেকে। বিভিন্ন পোষ্টের মাধ্যমে তারা বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে এবারও আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে দিলেন প্রশাসন।"
তবে বিগত আন্দোলনের থেকে এবারের কথাই আশাবাদী শিক্ষার্থীরা কিন্তু লিখিতভাবে দাবি পূরণের অপেক্ষায় তারা।
হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান পাপ্পু বলেন, "আমরা কিভাবে মৌখিক দাবিকে ভরসা করব বিগত কয়েকটি আন্দোলনের মৌখিকভাবে তারা দাবি পূরণের কথা বলেছে। কিন্তু কোন কাজ হয়নি ফলাফল শূন্য খালি হাতে ফিরেছে জবি শিক্ষার্থীরা।
তাই মৌখিক নিশ্চয়তা কে এখনো পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না লিখিতভাবে যেদিন আমাদের নিশ্চয়তা দিবে সেদিনই হয়তো আমাদের ভয়টি কাটবে।"
আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক জিলন বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সাংবাদিকদের মাধ্যমে গঠিত "জবি ঐক্য" মনে করেছে দাবি আদায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে যদি দাবি বাস্তবায়ন না হয়।
তাহলে এর দায়ভার তারা নিবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি দাবি আদায় বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন ব্যর্থ হয় তাহলে এই প্রশাসনের পদত্যাগের জন্য জবি ঐক্য মাঠে নামবে।"
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হলো:
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।