জবি প্রতিনিধি:
তৃতীয় দিনের মত জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থানস্থলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের উপর প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিকাল ৪ টায় কাকরাইল মসজিদ মোড়ে শিক্ষার্থীরা এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি শুরু করেন। সরেজমিনে দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংলগ্ন রাস্তার উপর তিনটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে 'সান্ডা মাহফুজ' লেখা সাঁটিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এরপর পালাক্রমে শতাধিক শিক্ষার্থী বোতল নিক্ষেপ শুরু করেন। এই সময় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, তার মাথায় বোতল নিক্ষেপের ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। আমাদের শিক্ষকরা তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি পুরো বিষয়টিতে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন। উপদেষ্টা মাহফুজের উদ্যত্মপূর্ণ আচরণকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। নৃ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাওন বলেন, বোতল নিক্ষেপের মতো একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওনি আমাদের সাথে কথা না বলে চলে গেছেন। সরকারের একজন ছাত্র প্রতিনিধি হয়েও আমাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে খারাপ আচরন করেছে। পুলিশ আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে। ওনি এটার জন্য আমাদের পক্ষে অবস্থান না করে পুলিশের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়েছে, এর প্রতিবাদে আমরা আজকে সান্ডা মাহফুজের উপরে প্রতীকী বোতল নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করছি। এর আগে গত বুধবার থেকে যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সমাবেশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ৫০টি বাস চক্রাকারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলস্থলে নিয়ে এসেছেন। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। চলমান আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা; জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন দেওয়া; দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাশ ও দ্রুত বাস্তবায়ন; গত ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।