ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর নেত্রী অধ্যাপক নায়লা ইসলাম।
অধ্যাপক নায়লা ইসলাম বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসন পছন্দ করি না। সংবিধানে মহিলাদের জন্য সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো বাধা নেই, তাই আমি সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে এককভাবে একজন সরাসরি মহিলা প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “দলের প্রতি আমার আনুগত্য, ত্যাগ, শ্রম এবং সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় দল আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবে বলে শতভাগ আশাবাদী। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে গত ৩১ বছর ধরে দুইটি কলেজে শিক্ষকতা করছি। পাশাপাশি ১৯৮৯ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ছাত্রজীবন থেকেই তৃণমূল পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেছি।”
অধ্যাপক নায়লা ইসলাম জানান, “আমি এমপি হতে পারলে নবীনগর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মাদক নির্মূল ও যুব সমাজের কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করব। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ নির্মাণে ভূমিকা রাখতে চাই।”
তিনি বলেন, “কোনো স্বৈরশাসকের চোখরাঙানি কিংবা চাকরির ভয় আমাকে থামাতে পারেনি। গত ১৬ বছরে ছয়বার চাকরি হারিয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে নিজ এলাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে জেলেও গিয়েছি। ছয়টি রাজনৈতিক মামলায় এখনও লড়ছি। অনেক পুরুষ নেতা দল ছেড়ে চলে গেলেও আমি একজন নারী হয়েও কখনো ভীত হইনি। বিএনপির প্রতি আমার ভালোবাসা ও আনুগত্য অটুট রয়েছে।”
তিনি দলের হাইকমান্ডের কাছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন এবং নবীনগর উপজেলা বাসীর পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক নায়লা ইসলাম বর্তমানে ডেমরা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে কর্মরত এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সম্মানিত সদস্য, নবীনগর উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক এবং ডেমরা থানা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি। তিনি ঢাকায় বিএনপির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন।
নায়লা ইসলাম বিশ্বাস করেন, দলের হাইকমান্ড তার দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও অবদানকে সম্মান জানিয়ে উপযুক্ত মূল্যায়ন করবে।