নিজস্ব প্রতিবেদন
১৪ এপ্রিল ২০২৫ ছবি: সংগৃহীত।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবে মারাত্মকভাবে ভুগছেন। আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে মশার প্রকোপ এতটাই বেড়েছে যে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চললেও কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এলাকায় মশার উপদ্রব অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। সন্ধ্যা নামলেই মশার ভয়ে শিক্ষার্থীরা রুমে আটকা পড়েন। তবে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা নিস্তার পায় না হল রুমেও, মশার কামড়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না পড়াশোনায়।
মূলত ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবের কারণ হলো জলাবদ্ধতা ও ঝোপঝাড় ঠিকভাবে পরিষ্কার না করা। পাশাপাশি ড্রেনেজ সিস্টেমের দুর্বল ব্যবস্থাপনা এবং নালা-নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পর্যাপ্ত পরিমাণে মশা নিধনের জন্য কীটনাশক স্প্রে বা ফগিং করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে খান জাহান আলী হলের একজন সাধারণ শিক্ষার্থী রুহিন হোসেন রুমি (এইচআরএম-২৩) জানান, “রাতে মশার কামড়ে ঠিকমতো ঘুমই হয় না। ফ্যান চালালেও মশা ভেতরে ঢুকে পড়ে। হলের পাশে লেকে বড় বড় কচুরীপান ও ড্রেনের পানিতে মশার ডিম্বাণু, সেখানে সারাক্ষণ মশার ঝাঁক।কর্তিপক্ষের তেমন কোন তদারকি নেই।”
এ বিষয়ে “স্টেট” শাখার প্রধান এম এম মোহাম্মাদ আলী জানান, স্টেট শাখার পক্ষ থেকে সপ্তাহে দুই দিন প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও ক্যাফেটেরিয়া সংলগ্ন জায়গায় ফগার মেশিন চালানো হয়। যেসব জায়গায় পানি জমে থাকে সেখানে যেন মশার ডিম্বাণু তৈরি হতে না পারে সে জন্যে এক প্রকার স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও লেকের কচুরিপানা বড় হলেই তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেয়া হয়। পাশাপাশি হল কর্তিপক্ষকে সপ্তাহে দুইবার ফগার মেশিন দেয়া হয় ব্যবহার করার জন্য। তবে শিক্ষাথীদের অভিযোগের কথা তুলে ধরলে তিনি জানান পর্যাপ্ত লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে পূর্ণজ্ঞ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না এ বিষয়ে রেজিস্টার অফিসে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
পরবর্তীতে রেজিস্টার বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমাননের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে ফ্রিলান্সিং প্রক্রিয়ায় কিছু লোকবল প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগ করা হয়, বিশেষ করে যখন কোন ধরনের বড় জন সমাগম ও অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় এবং অতিরিক্ত বর্জ পরিস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তবে মেশিনের সংকট রয়েছে এ বিষয়টি মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি’র অনুমোদন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতার কারনে বরাবরই তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে আসছেন।
Leave a Reply